রোববার (১৬ জুলাই) তাদের ঢামেকের পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
জটিল রোগে আক্রান্ত জাহিদুল উল্লাহপাড়া উপজেলার পূর্ব দেলোয়া গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিনের ছেলে এবং সবুজ সলঙ্গা উপজেলার দবিরগঞ্জ গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলামের ছেলে।
জাহিদুলের বাবা আলিম উদ্দিন জানান, জন্মের সময়ই জাহিদুলের জিহ্বা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় আকৃতির ছিলো। এরপর তা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। জেলা হাসপাতাল, নাটোর, বগুড়াসহ ঢাকা শিশু হাসপাতালেও তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু কোথাও এর সু-চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে সবুজের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, জন্ম থেকেই সবুজের পেটে অস্বাভাবিক টিউমারের মতো একটি জিনিস দেখা যায়। যা পরবর্তী সময়ে আরো বড় হতে থাকে। বিভিন্ন হাসপাতালে গেলেও এর প্রতিকার সম্ভব হয়নি।
জাহিদ ও সবুজের বাবা জানান, স্থানীয় সাংবাদিক মামুন বিশ্বাস জটিল রোগে আক্রান্ত দুই শিশুর খবর পেয়ে প্রথমে তাদের নিয়ে জেলা সিভিল সার্জনের কাছে যান। পরে তাদের ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ বিষয়ে মামুন বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, অস্বাভাবিক ও জটিল রোগীদের সহায়তার জন্য ফেসবুকে আমাদের একটি গ্রুপ রয়েছে। কিছুদিন আগে আমরা জাহিদুল ও সবুজের খবর পাই। ফেসবুকে তাদের জটিল রোগের কথা প্রচার করা হলে স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল ইসলাম জেলা সিভিল সার্জনকে শিশু দুটিকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে বলেন এবং শিশু দুটির চিকিৎসার খরচ বহন করার আশ্বাস দেন।
ঢামেক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. ঝুমা বাংলানিউজকে জানান, শিশু দুটির একজনের জিহ্বা অস্বাভাবিক ও অন্য জনের পেটে বড় টিউমার রয়েছে। জানতে পেরেছি সমস্যাটি জন্মগত। তাদের পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগে (ওয়ার্ড ২০৫) ভর্তি রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এজেডএস/ জিইউএস/এমজেএফ