দিনে ১ হাজার ৫০০ রোগী আউটডোরে ভিড় করেন, ভর্তি হতে আসেন আরও ১৫০ জন। তাদের সঙ্গে ভিজিটর মিলিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়ের পরও পরিচ্ছন্নতার মাপকাঠিতে অন্য যেকোনো হাসপাতালের চেয়ে কয়েকগুণ এগিয়ে আদ্-দ্বীন।
‘হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা যতো বেশি, তার তুলনায় ইনফেকশন রেট অনেক কম’- পরিচ্ছন্নতার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন। হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের মতো গন্ধ নেই এখানে। ওয়াশরুম-বাথরুমেও সুগন্ধি ছড়ানো। জুতা খুলেই হাসপাতালে প্রবেশ করতে হয়।
প্রচণ্ড বৃষ্টির সময়ও বাইরে থেকে পানির ছিটে-ফোঁটা আসামাত্রই মুছে ফেলতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ফলে ময়লা-আবর্জনা পড়ে জীবানু জমে থাকার কোনো চিত্র নেই আদ্-দ্বীন হাসপাতালে। সামনে থেকে পেছনে, ওপর থেকে নিচে- কোথাও নেই অপরিচ্ছন্নতাও।
ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, ‘ঠিক বাসার মতোই এখানকার পরিবেশ। এমন পরিবেশে যারা আসেন, তারাও অনেকটা সচেতন হয়ে যান’।
হাসপাতাল কি করে গন্ধমুক্ত আর এমন পরিচ্ছন্ন থাকছে তার পেছনের কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে ক্লিনারদের সংখ্যা অনেক। ভাগ করে দেওয়া দায়িত্বের জায়গাও খুবই সীমিত, যেন তাদের নজরের মধ্যেই থাকে ময়লা-আবর্জনা’।
তিনি বলেন, ‘শুধু হাসপাতালেই রয়েছেন ১৬৯ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাদের প্রত্যেকেই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ইনফেকশন প্রিভেনশন বা কন্ট্রোলে জীবাণুনাশক স্তর ব্যবহার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে’।
‘আমরা ক্লোরিন সল্যুশন দিয়ে পরিষ্কার করি। হাসপাতালের বাইরের দিকে পরিষ্কার পানি ও তার মধ্যে ডিটারজেন্ট দিয়ে রাখা হয়। ভেতরের ওয়ার্ড-ওটিতে ক্লোরিন সল্যুশন ব্যবহার করায় কোনো গন্ধ ছড়ায় না। যা থেকে অন্য হাসপাতালে সচরাচর গন্ধ বের হয়’। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের খালারা হাতে কাপড় নিয়ে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করেন। যখনই ময়লা দেখা যাবে, তখনই তাদের কাজ হচ্ছে- পরিষ্কার করা’।
‘আর বাথরুমের জন্য রয়েছেন আলাদা খালা। বাথরুম পরিচ্ছন্ন আর শুকনো রাখি, সঙ্গে একটি ফ্লেবার যোগ করি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
এসএ/এএসআর