সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পুরনো দ্বিতল ভবনের নিচতলার বারান্দার ছাদের অংশে বড় ফাটল ধরেছে। পলেস্তরা খসে খসে ছাদের রড বেরিয়ে গেছে এবং গ্রিলের কিছু অংশ ডেবে গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যশোর সদর উপজেলার রোগী সলেমান হোসেন (৪৫) বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এমনিতে অসুস্থ, এরপরে আবার ছাদের ফাটলে চরম আতঙ্কের মধ্যে আছি। কোনো রকম দুর্ঘটনা ঘটলে অনেকের প্রাণহানিও ঘটতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৬ সালে এই বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির নিচতলায় সার্জারি ও অর্থোপেডিক এবং দ্বিতীয় তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডের ৭০টি শয্যায় রোগী ভর্তি। এছাড়াও রোগীদের স্বজন মিলে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের অবস্থান ভবনটিতে। অভিযোগ, ভবনটির ছাদে কয়েকমাস আগেই ফাটল দেখা গেলেও সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় সংস্কার হয়নি। তবে অবস্থা গুরুতর হলে শনিবার (০৫ আগস্ট) বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহেদুজ্জামান লিটু বাংলানিউজকে বলেন, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সাময়িকভাবে বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে, এটা স্থায়ী কোনো সমাধানের চিন্তা নয়।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম কামরুল ইসলা বেনু বাংলানিউজকে বলেন, রোজার ঈদের আগে ছাদে ফাটল দেখে আমি গণপূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারকে জানালে তিনি পরিদর্শন করেন। ওইদিনই তাকে ঢাকায় জরুরিভিত্তিতে রিপোর্ট করতে অনুরোধ করেছি, তবে কোনো সাড়া পাইনি।
সবশেষ শনিবার (৫ আগস্ট) খারাপ অবস্থা দেখে গণপূর্ত বিভাগে জানালে তারা দুর্ঘটনা এড়াতে দশটি বাঁশের খুঁটি লাগিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৭
এএ