২০১৫ সালে স্থানীয় সানবিম স্কুলের প্লে গ্রুপের ছাত্র রাফির Childhood acute lymphoblastic leukemia (ALL) নামক ক্যান্সার ধরা পড়ে।
ছোট্ট রাফি বর্তমানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বরগুনার ৯নং ওয়ার্ডের সদর রোডের বাসিন্দা রাফির বাবা মনোয়ার হোসেন মুদি দোকানি ছিলেন। তিনি ওই দোকান বিক্রি ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এতোদিন ছেলের চিকিৎসা করিয়েছেন।
ব্যয়বহুল এ চিকিৎসায় ইতোমধ্যেই খরচ হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। মনোয়ার হোসেন এখন নিঃস্ব। কিন্তু সুস্থ হতে এখনো নতুন করে রাফিকে ১৭টি কেমো দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান।
এ ১৭টি কেমো দিতে খরচ হবে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসার খরচ মিলে তাদের আড়াই লাখ টাকা দরকার।
রাফির বাবা মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘দুই বছর আগে ৫ বছর বয়সে রাফির প্রায়ই খুব জ্বর আসতো। এক সময় চোখের নিচে কালো হয়ে যায়, শরীরে কালো কালো দাগ দেখা দেয়। আমরা চিকিৎসা করাই, কিন্তু জ্বর কমে না। পরে বরিশালে নিয়ে জানতে পারি, ওর ক্যান্সার হয়েছে’।
মনোয়ার বলেন, ‘তখন আমরা দিশেহারা হয়ে যাই। রাফিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আসি। সেখানে ওর চিকিৎসা শুরু হয়। চিকিৎসায় রাফি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ করে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখন ডাক্তার বলেছেন, নতুন করে ১৭টি কেমো দিতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘নিজের যা ছিলো আর সকলের সহযোগিতায় দুই বছর চিকিৎসা করিয়েছি। এখন আমার আর কিছুই নেই। আড়াই লাখ টাকা হলে ওর বড় চিকিৎসা শেষ হবে। তারপর ছোট ছোট যে চিকিৎসার দরকার, আমি কাজ করে চালিয়ে নিতে পারবো’।
বাধ্য হয়ে সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগাড়ে অসহায় এই দরিদ্র বাবা সমাজের বিত্তবান ও সকলের কাছে আকুল আবেদন করেছেন। আতিকুর রহমান রাফিকে তার বাবার বিকাশ নম্বরে (০১৭৩৫১৩২২৭১) সাহায্য পাঠানো যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৭
এসআইজে/এএসআর