আগামী দু'একদিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, গরমের কারণে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
গরমের এমন ধরাবাহিকতা আরো কিছুদিন থাকলে রোপা, আউশ ধান ও গ্রীস্মকালীন সবজির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষক।
একদিকে গরম আর অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। গত কয়েকদিন থেকে ভোলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচণ্ড তাপদাহ। গরমের হাত থেকে রক্ষার কোনো উপায় পাচ্ছেন না দিনমজুররা। বাধ্য হয়েই রোদের মধ্যে কাজ করছেন তারা।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, গরমের কারণে কিছুটা ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু ও বয়স্করা। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন মজুদ রয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী মাহাবুব রহমান জানান, দিনে ও রাতে প্রচণ্ড গরম পড়ছে, আগামী দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে প্রচণ্ড গরম আর খরার কারণে কৃষকের ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে আউশ ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন গ্রামের চাষিরা। বিস্তীর্ণ ফসলের উৎপাদন নিয়েও অনেকটা চিন্তিত তারা।
তবে আপাতত ফসলের কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন।
তিনি জানান, টানা আরো ১০/১২ দিন তাপদাহ অব্যাহত থাকলে আউশ ও সবজির ক্ষতি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
আরএ