রোগীদের সঙ্গে এমন ভয়ঙ্কর প্রতারণার কারণে এ দুই প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (০৬ জুন) বিকেলে হাইটেক মেডিকেল সার্ভিসে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট দিয়ে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট চালিয়ে সেবা গ্রহীতার জীবন বিপন্ন করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার ২০০৯ সালের আইনানুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির রিএজেন্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে মার্চে। তারপরও প্যাথলজি টেস্ট চালানো হচ্ছিলো। এতে করে ভুল রিপোর্টে রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। সেইসঙ্গে লাইসেন্স না থাকার পরও প্রতিষ্ঠানটি বিদেশগমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চালিয়ে আসছিলো।
তিনি বলেন, লাইসেন্স না থাকা বা রেজিস্টার্ড না থাকার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজি পরীক্ষার যন্ত্রাংশ ঠিক না থাকা। এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ভুল পরীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে ওষুধ খেয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। ফলে আইনে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ধাকলেও তাৎক্ষণিক ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ক্রমে মামলার নিষ্পত্তি করা হয়।
এছাড়া অপর এক অভিযানে ল্যাব ডেল্টা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযানিক দলের নেতৃত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট দিয়ে রোগীদের টেস্ট করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন করা ছিল না। এ কারণে ভোক্তা অধিকার ২০০৯ সালের ৫২ ধারায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাজ্জাদুল হাসান ও ক্রিস্টফার হিমেল রিচিল’র নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের আরেকটি টিম নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স না থাকায় নিউ ম্যাডি হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
অভিযানে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, বেসরকারি মেডিকেল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির প্রতিনিধি ও পুলিশ সদস্যরা সহায়তা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৮
এনইউ/ জেডএস