সোমবার (৯ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল বলেন, বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা ৬৭ শতাংশ প্রবাস ফেরত।
তিনি বলেন, এই রোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা। এ নিয়ে যে ট্যাবু আছে তা ভাঙতে হবে। বৈষম্য দূর করতে হবে। সংবিধানে যে অধিকারের কথা বলা আছে, তা রোগীদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা হওয়া উচিত বটম-আপ। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা হয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। তারপর সেটা প্রশাসন বাস্তবায়ন করে। এভাবে সঠিক পরিকল্পনা হয় না। এনজিওগুলো যেমন একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ করে, তেমন করে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা আছে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমাদের পূরণ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন বলেন, দুনিয়াব্যাপী এই রোগীদের অধিকার বাস্তবায়নের সমস্যা রয়েছে। তাই চিকিৎসা দেওয়াও সামাজিকভাবে সম্মান প্রদর্শন ছাড়াও মূল্যবোধের জায়গাটুকু দিতে হবে।
‘সেন্ট্রাল লেবেল কনসাল্টেশন অব কমিউনিটি ফোরাম’ শীর্ষক এই আলোচনা সভাটি আয়োজন করে কমিউনিটি ফোরাম এবং ইউএনএআইডিএস।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ফোরামের কনভেনার শেলী আহমেদ, ইউএনএআইডিএস’র কান্ট্রি ম্যানেজার সামিয়া খান, সেভ দ্যা চিলড্রেন’র চিফ অব পার্টি রিমা রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৮
ইইউডি/এএটি