ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘খাদ্যাভ্যাস অপ-অভ্যাসে পরিণত হওয়ায় দুধ পান কমছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
‘খাদ্যাভ্যাস অপ-অভ্যাসে পরিণত হওয়ায় দুধ পান কমছে’

ঢাকা: বর্তমান সময়ে দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস অপ-অভ্যাসে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার বলেছেন, খাদ্যাভ্যাস অপ-অভ্যাসে পরিণত হওয়ায় মানুষের মাঝে দুধ পানের পরিমাণ কমে গেছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-১ এর মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘পুষ্টি চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে বাংলানিউজ ও আড়ং ডেইরি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতায় জুয়েল মাজহার বলেন, আগে আমাদের যে খাদ্যাভ্যাস ছিল তা অনেকটাই অপ-অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমা সংস্কৃতিতে প্রভাবিত হয়ে আমরা এখন বেশি বেশি জাংক ফুড বা ফাস্ট ফুড গ্রহণ করি। অথচ স্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় দুধ কম পান করছি আমরা। দুধের প্রতি আমাদের এক ধরনের অনাগ্রহ-অনীহা কাজ করে।  

শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দুধের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে বাংলানিউজ সম্পাদক বলেন, আমাদের জীবনে দুধের যে চাহিদা, সুস্থ থাকতে হলে দুধের যে প্রয়োজনীয়তা তা অপরিসীম। বিশেষ করে হাড়ের গঠনে দুধের মতো উপকারী খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। সে কারণেই এটিকে সুষম খাদ্য বলা হয়। এতোকিছু জেনেও আমরা দুধের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন>> চলছে ‘প্রতিদিন একগ্লাস দুধের প্রয়োজনীয়তা’ নিয়ে আলোচনা

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান তাহমিদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি যে, দুধের প্রতি অনীহা যেমন শিশুদের মাঝে আছে, তেমনি এক ধরনের উদাসীনতা মায়েদের মাঝেও আছে। কিন্তু এখানে পরিবর্তন আনা জরুরি। আর দুধ শুধু শিশুদের খাবার বলে এক ধরনের ধারণা আছে আমাদের, যা ঠিক নয়। প্রাপ্তবয়স্করাও দুধ পান করতে পারেন। আমাদের একটু খারাপ লাগলে চায়ের দোকানে গিয়ে চা খাই। এখন ১৩ টাকা দিয়েও চা খাই। কিন্তু প্রায় একই টাকা দিয়ে দুধ পান করা যায়, যা আমাদের চায়ের থেকেও বেশি শক্তি ও পুষ্টি দেয়। এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। বড় পরিসরে ক্যাম্পেইন করতে হবে।  

বাংলানিউজের লাইফস্টাইল এডিটর শারমীনা ইসলামের মডারেশনে এবং মালিহা মেহরিন বুশরার সঞ্চালনায় আলোচনায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত আছেন ব্র্যাকের ডেইরি অ্যান্ড ফুড বিভাগের পরিচালক ও জাতীয় ডেইরি ডেভেলপমেন্ট ফোরামের মহাসচিব আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হারুন উর রশীদ, আইসিডিডিআরবির ঢাকা হাসপাতালের চাইল্ড ম্যালনিউট্রিশন বিভাগের প্রধান ডা. ইকবাল হোসাইন, অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মেডিক্যাল সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট) ডা. আরিফ মাহমুদ, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড এন্টারপ্রাইজের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জয়দ্বীপ সান্ত্রা, ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্টের ডিজিএম ড. মুহাম্মদ হারুন উর রশীদ,  অ্যাপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী, বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকল্প পরিচালক তাহমিনা খান মজলিস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।