বুধবার (৩১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা সবাই মিলেই মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সাধারণত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এ বছর জুনের শুরুতেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের খবর আসতে থাকে। জুলাইয়ে এসে তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত নেত্রকোণা ছাড়া সবগুলো জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।
ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় রি-এজেন্টের সংকট দেখা দেওয়ায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বক্তারা বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার এনএসওয়ান কিট আমদানি করা হচ্ছে। এগুলো যেহেতু দেশে তৈরি হয় না, এজন্য এগুলো আনতে কমপক্ষে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও এক লাখ কিট দেবে, যেগুলো আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবো। যা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এরইমধ্যে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ব্যবহৃত আরডিডি কিট সব জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু গাইড লাইনও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বক্তারা আরো বলেন, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪০০টি দল ঢাকা শহরের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের দুই লাখ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেবে। তারা ডেঙ্গুর উৎপত্তিস্থল নির্মূলে শিশুদের প্রশিক্ষণ দেবে, যেন তারা আবার বাসায় গিয়ে তা প্রয়োগ করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক আয়শা আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এমএএম/জেডএস


