ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢামেকে ময়লার পাহাড়, যেন দেখার কেউ নেই

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
ঢামেকে ময়লার পাহাড়, যেন দেখার কেউ নেই .

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্তূপে জমে পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে পচা দুর্গন্ধযুক্ত পানি বের হচ্ছে। আর সেই পানির মধ্য দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করতে হচ্ছে রোগীও স্বজনদের।

এসব ময়লার স্তূপগুলো দেখে হাসপাতালের আগত দর্শনার্থীরা বলছেন, এরকম ময়লার স্তূপতো সিটি করপোরেশনে বরাদ্দকৃত জায়গায় থাকে।  এসব ময়লাগুলো সরানোর কি কেউ নেই এতো বড় হাসাপাতালে।

 

হাসপাতালে ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজনরা বলছেন, গত দু’দিন যাবত হাসপাতালে ময়লার স্তূপ জমে পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের কোনো কর্মচারীকে দু’দিনেও ময়লাগুলো পরিষ্কার করতে দেখা যায়নি।  
.

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টা দিকে ঢামেকের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় দেখা যায়, হাসপাতালের বেশকয়েকটি স্থানে ময়লার স্তূপ জমে রয়েছে। বরাদ্দকৃত প্লাস্টিকের ডাস্টবিন হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় রেখে দেওয়া হলেও তা ময়লায় পরিপূর্ণ হয়ে আস-পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। ময়লাগুলো দেখে মনে হচ্ছে গত কয়েকদিন যাবত ডাস্টবিনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিদিন দু’বার ডাস্টবিনগুলো পরিষ্কার করার কথা রয়েছে।

এদিকে, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০৮ ও ২১০ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যবর্তী স্থানে বাথরুমে প্রবেশের মুখেই কয়েকটি ডাস্টবিন ময়লায় পরিপূর্ণ হয়ে আশপাশে ময়লাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকি ডাস্টবিনের ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধযুক্ত পানি বের হচ্ছে। আর সেই পানির ডিঙিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করতে হচ্ছে রোগীও তাদের স্বজনদের। এছাড়া দ্বিতীয় তলার ২০০ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন ভবনে যেতে সংযোগ ব্রিজের মুখে কয়েকটি ডাস্টবিন ময়লায় পরিপূর্ণ হয়ে বাহিরের দিকেও আর্বজনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ঢামেকের ২০৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী সোহাগের বাবা রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, গত চার দিন যাবত হাসপাতালে অবস্থান করছি। কিন্তু দু’দিন যাবত ময়লাগুলোর স্তূপ পড়ে থাকলেও কাউকে পরিষ্কার করতে দেখিনি।
 
ওয়ার্ডে থাকা নিষেধ তাই বাথরুমের সামনে দুর্গন্ধযুক্ত জায়গায় পাশেই বিছানা করে শুয়ে থাকি। কখন ওয়ার্ড থেকে ডাক আসে ছেলের জন্য। কি আর করার, গন্ধ হলেও ছেলের সুচিকিৎসার জন্য এখানেই থাকতে হচ্ছে বলেও জানান রুহুল আমিন।

.আলামিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মাথায় আঘাত জনিত কারণে ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি। তার বাবা নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, ভোর থেকে সবাই ডাস্টবিনে ময়লা ফেলায় পরিপূর্ণ হয়ে আশপাশে ময়লাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। গত দু’দিন যাবত কেউ পরিষ্কার করছে না।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলানিউজকে জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডের ভেতরে তিনবার করে ময়লা পরিষ্কার করার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডের বাইরে জমে থাকা ময়লাগুলো প্রতিদিন দু’বার পরিষ্কার করার নির্দেশনা রয়েছে।

ময়লা পরিষ্কার হচ্ছে কিনা এজন্য প্রতিদিন মনিটরিং করা হয়। হয়তো শুক্রবার হওয়ায় কর্মচারীরা গাফিলতি করছে। এছাড়া আউটসোর্সিংয়ে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের শুক্রবারে ছুটি দেওয়া হয়। জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করার জন্য হাসপাতালের সরকারি সুইপার আছে তাদেরও পরিষ্কার করার কথা বলেও জানান সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এজেডএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।