অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়োরেন্টিন শেষ হয়েছে ৩ প্রবাসী ও তাদের পরিবারের ৪৯ জনসহ মোট ৫২ জনের। কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায় তাদের ছাড়পত্র দিয়েছে ফেনী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
শনিবার (২১ মার্চ) সকালে ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কোয়োরেন্টিনে থাকা সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কোয়োরেন্টিনে থাকা লোকদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী।
এর বাইরে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেখাশোনা করার জন্য। সিভিল পোশাকে পুলিশও কোয়োরেন্টিনে থাকা লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে কোয়োরেন্টিনে থাকা লোকজনের সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের পরিচয় গোপন করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩০ বেড, ফেনী ট্রমা সেন্টারে ৩০ বেড, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ বেডসহ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ বেড করে ২৫ বেডের আইসোলেশন কর্নার করা হয়েছে।
অপরদিকে বিদেশফেরত কোনো ব্যক্তি যদি হোম কোয়োরেন্টিনে না থাকে এবং থেকেও নিয়মকানুন না মেনে চলে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, জনস্বার্থে প্রবাসীরা স্বেচ্ছায় হোম কোয়োরেন্টিনে থাকা উচিত। তিনি জেলার সচেতন সমাজকে আহ্বান করেন কোনো বিদেশফেরত লোক যদি কোয়োরেন্টিনে না থেকে ঘোরাঘুরি করে তাহলে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়।
ফেনী জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিদেশফেরত সবাইকে কোয়োরেন্টিন অথবা হোম কোয়োরেন্টিনে থাকতে হবে। যদি কেউ না থাকে অথবা কোয়োরেন্টিন নীতিমালা অমান্য করে তাহলে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এসএইচডি/আরবি/