সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন।
হোম কোয়ারেন্টিনের রয়েছেন নরসিংদী সদর উপজেলার ৬৯ জন, রায়পুরায় ২৮ জন, বেলাবতে ৩১ জন, মনোহরদীতে ৩৭ জন, শিবপুরে ৮৮ জন ও পলাশ উপজেলায় ২৫ জন।
এরা সবাই ইতালি, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুর ফেরত।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বাংলানিউজকে বলেন, নরসিংদীতে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো রোগী শনাক্ত হননি। যারাই বিদেশ থেকে দেশে ফিরছেন তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। সোমবার ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে সাতজন প্রবাসীর। তাদের মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ না নেই। তারা সবাই সুস্থ রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জেলার সব মিল কারখানায় থার্মাল স্ক্যানের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানোর জন্য বলা হয়েছে। আর যাদের জ্বর, ঠাণ্ডা থাকবে, তাদের কাজে না আসার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া কারাগারে যেসব কয়েদিদের মধ্যে জ্বর, ঠাণ্ডা লক্ষণ দেখা যাবে তাদের আলাদা রুমে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলাজুড়ে দিনদিন বিদেশফেরত প্রবাসীদের আগমনের সংখ্যার তুলনায় কোয়ারেন্টিনে থাকার সংখ্যা কম হওয়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ। জনসচেতনতা বাড়াতে ও আগত প্রবাসীদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন পাশাপাশি নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তির বিধানও রয়েছে বলে প্রতিদিন মাইকিং করে জানাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া জনসমাগম ঠেকাতে ও দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিরোধ করতে প্রতিদিন বাজারে ও বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। বাজার মনিটরিং করছে জেলা পুলিশও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এসআরএস