এখন কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৪ হাজার ৭০৮ জন। রোবার (২২ মার্চ) কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ২৩ হাজার ৬৮৪ জন।
সোমবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ২৯০টি প্রতিষ্ঠার প্রস্তুত করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৪১ জনকে সেবা দেওয়া যাবে। আইসোলেশনের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় আছে ১ হাজার ৫০টি শয্যা।
এছাড়া ঢাকা শহরের কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা , যাত্রাবাড়ীর সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতলে ২৯টি আইসিইউ প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি আরও ১৬টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুতির কাজ চলছে। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৫টি ডায়ালাইসিস শয্যা প্রস্তুত আছেন। আশকোনা হজ ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ৩০০ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
আইইডিসিআরের তথ্য উল্লেখ করে এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করেছেন ৬২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে ছয়জনের। এর মধ্যে সবশেষ যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৬০ বছরের বেশি। এই তিনজনের মধ্যে দুইজনের ট্রাভেল হিস্ট্রি রয়েছে। একজন ভারত, একজন বাহরাইন থেকে আসেন।
এই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ পর্যন্ত সর্বমোট ২২৭ জন আইসোলেশন এ ছিলেন এবং এদের মধ্যে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৮৭জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আছেন ৪০জন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৬ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২০
পিএস/এএটি