মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ওই পুলিশ সদস্য ও তার বাবাকে হাসপাতালের আইসোলোশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তারা মাগুরা সদর উপজেলার কাপাশাটি গ্রামের বাসিন্দা।
এ প্রসঙ্গে কেএমপি’র সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার রাশিদা বেগম জানান, ওই পুলিশ সদস্য গত ৩ মার্চ থেকে পক্সে আক্রান্ত হয়ে ছুটিতে মাগুরায় গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। মঙ্গলবার কেএমপিতে যোগ দিতে এলে শারীরিক সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অসুস্থতাকালে তাকে তার বাবা সেবা দেন। সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকেও হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, মঙ্গলবার রাতে ওই পুলিশ সদস্যকে তার বাবা করোনা সন্দেহে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পুলিশ সদস্যের জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা রয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
মঞ্জুর মোর্শেদ আরও জানান, ছেলেকে এ অবস্থায় মাগুরা থেকে নিয়ে আসেন তার বাবা। চিকিৎসাসহ সেবা দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তাকেও তাৎক্ষণিকভাবে করোনা ইউনিটে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা এখনো নিশ্চিত নন, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যোগাযোগ হলে (বৃহস্পতিবার) তাদের স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
এমআরএম/এইচজে