কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহৃত মাস্ক অতিবেগুনি রশ্মির সাহায্যে জীবাণুমুক্ত করে পুনর্ব্যবহার করার লক্ষ্যে আউটডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ মেশিনটি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ব্লাড ব্যাংকে স্থাপন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে মেশিনটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, বরিশালসহ দেশে উন্নতমানর এন-৯৫ মাস্কের দাম ও স্বল্পতার কারণে তা ব্যবহার দুরূহ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে একটি ইউভি স্টেরিলাইজার মেশিনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন আউটডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এর ধারাবাহিকতায় চিকিৎসকদের এ সংগঠনের পক্ষ থেকে ৪ মে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে (ব্লাড ব্যাংক) স্থাপন করা হয় ইউভি স্টেরিলাইজার মেশিনটি। বুধবার (৬ মে) থেকে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত আউটডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী তুহিন বলেন, এ মেশিনের সাহায্যে একটি মাস্ক স্টেরিলাইজ করে (জীবাণুমুক্ত) একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। ইতোমধ্যে যে সব মাস্ক ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো আবারও স্টেরিলাইজ করার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ই মেশিনের সুবিধা ভোগ করবেন।
এদিকে প্রথম রমজানে আউটডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কোয়ারেন্টিনে থাকা হাসপাতালের দেড়শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কলেজের বেশকিছু শিক্ষার্থী এবং করোনা ভাইরাস রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেছেন। এছাড়া এ সংগঠনের উদ্যোগে হাসপাতালের করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ এবং রোগীর স্বজনদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভাপতি ডা. সৌরভ সুতার।
তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আউটডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন শুরু থেকেই সচেতনামূলক কাজ করেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল (মোবাইল) টিম চালু রেখেছে। মেডিক্যাল টিমের মোবাইল নম্বরগুলো বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাবার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। সংগঠনের এ সকল মানবতা ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রম নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
এমএস/এফএম