ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হলি ফ্যামিলির ৫০০ শয্যা করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
হলি ফ্যামিলির ৫০০ শয্যা করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ঢাকা: রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ৫০০ শয্যা হাসপাতাল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, আজ থেকেই হাসপাতালটি আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত করোনা চিকিৎসা হাসপাতাল হিসেবে চলমান থাকবে।

রোববার (১০ মে) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট রেড ক্রিসেন্ট হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি সরকারের পক্ষ থেকে সাময়িকভাবে গ্রহণ পূর্বক কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করে শুভ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালটিতে করোনা চিকিৎসা দেওয়ার সব সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। করোনার এই দুর্যোগে এরকম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। এই হাসপাতালের মোট ৭০০ বেড থেকে শুধুমাত্র ৫০০ বেড করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও কর্মী রয়েছে। এর পাশাপাশি হাসপাতালটিতে আইসিইউ রয়েছে ১০টি, ভেন্টিলেটর সাতটি, ডায়ালাইসিস মেশিন সাতটিসহ অন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে। এখানে আলাদা কেবিন রয়েছে ৭৫টিরও বেশি। কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য যদি আরও কিছু প্রয়োজন হয় সরকার এখানে তা দেবে।

তিনি আরও বলেন, শুরুতে দেশে মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব ছিল। বিদেশ থেকে যখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেসময়ে এসে সরকার এখন ৩৬টি টেস্টিং ল্যাব চালু করেছে। প্রতিদিন পাঁচ হাজারের উপরে টেস্ট করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই আরও ১৬টি টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হলে টেস্টের সংখ্যা দিনে ৮-১০ হাজারে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এই হাসপাতালেও খুব দ্রুত একটি টেস্টিং ল্যাব বসানো হবে।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে চালু করতে গত ৭ মে সরকারের স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। প্রথম অবস্থায় এই চুক্তিকালীন সময় থাকবে অক্টোবর পর্যন্ত। তবে করোনার প্রকোপ না কমলে চুক্তির মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করা হতে পারে।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রেজারার লুৎফর রহমান চৌধুরী হেলাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
পিএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।