ঢাকা: দেশে সাত মাসের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এ দিনে মোট শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৮০৯ জনের।
সোমবার (২২ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জনসহ এ পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৭২০ জনের। নতুন শনাক্ত দুই হাজার ৮০৯ জনসহ মোট শনাক্ত পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৫৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ১৫৯ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৬ হাজার ১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ১১১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ২৩০টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, পাঁচ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চার জন। এছাড়া খুলনা ও সিলেট বিভাগে এক জন করে দু’জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৯ জন, বাড়িতে এক জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ দুই হাজার ৪১৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯২ হাজার ৩০৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ১১৬ জন।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২১
পিএস/এমআরএ