ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার লিটার অক্সিজেন খরচ হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মার্চের শুরু থেকে এপ্রিলের প্রথম দিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়।
করোনার আগে সেটা সর্বোচ্চ আড়াই হাজার লিটার ছিল। হাসপাতালের ট্যাংকে মজুদ থাকা সেন্ট্রাল অক্সিজেন রোগীদের দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) এই বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে অক্সিজেন স্টোরের ইনচার্জ সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে।
তিনি জানান, হাসপাতালে বাগান এলাকায় অক্সিজেন ট্যাংক আছে। যার ধারণক্ষমতা ২০ হাজার হলেও সেখানে ১৬ হাজার লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন মজুদ করা হয়। এ করোনাকালে গত বছর থেকে এই বছর আরও বেশি রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে। এছাড়া হাই ফ্লু নেজাল ক্যানোলা দিয়ে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। এই কারণে অক্সিজেন আরো বেশি লাগছে। তবে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় অক্সিজেন খরচও কিছুটা কমে গেছে। তবে ঢাকা মেডিক্যালে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই।
মার্চের শেষে ও এপ্রিলের শুরুতে প্রায় প্রতিদিনই আনুমানিক সেন্ট্রাল অক্সিজেনে মাধ্যমে আট হাজার লিটার অক্সিজেন রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে। করোনার আগে হাসপাতালের রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ আড়াই হাজার লিটার অক্সিজেন ২৪ ঘণ্টায় লাগতো।
তিনি আরো জানান, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে অক্সিজেন সাপ্লাই নেই। সেই কোম্পানি বলেছে তাদের অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিদিন তারা গাড়ি করে অক্সিজেন ট্রাংকে ভরে দিয়ে যায়।
তিনি জানান, এক হাজারের মতো আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। সেটা করোনায় ইউনিটে জরুরি বিভাগসহ অন্যান্য জায়গায় দেওয়া হয়। কোনো রোগী করোনা ইউনিটে জরুরি বিভাগে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে আসছে। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে সঙ্গে সঙ্গে সেই রোগীকে সিলিন্ডার অক্সিজেন লাগিয়ে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। পরে রোগীকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন দেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় আঘাতে মার্চের শেষ সপ্তাহের ও এপ্রিলের প্রথম দিকে রোগীর প্রচুর চাপ ছিল। তখন ২৪ ঘণ্টায় আমাদের অক্সিজেন খরচ আনুমানিক সাত হাজার থেকে আট হাজার লিটার। হাই ফ্লু দিয়ে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার কারণে অক্সিজেন বেশি লাগতো। এখন করোনা ইউনিটের রোগীর সংখ্যা অনেক কম। আনুমানিক ২০০ মত বেড খালি আছে। এখন ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার লিটার অক্সিজেন খরচ হয়।
তবে হাসপাতালে যে কোম্পানি অক্সিজেন সাপ্লাই দেয়, তাদের সঙ্গে সব সময় কথা বলি। তারা আমাদের জানিয়েছেন তাদের অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিদিনই তারা আমাদের অক্সিজেন দিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২১
এজেডএস/কেএআর