ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২১
থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা ...

ঢাকা: বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ১৪ জনে একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে এবং ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু এই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। এছাড়া প্রতিবছর ছয় হাজার শিশু বিভিন্ন রকমের থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে।

এই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো সচেতনতা।  

কালের কণ্ঠ ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে ‘থ্যালাসেমিয়া রোগ: সচেতনতাই প্রতিরোধ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সোমবার (০৩ মে) অতিথি আলোচকরা এসব বিষয় তুলে ধরেন।  

৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ ওয়েবিনারে সচেতনতা বৃদ্ধি করে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

ওয়েবিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্যে দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আর এ সচেতনতা কীভাবে তৈরি করা যায় সে বিষয়ে মিডিয়াকে নানাভাবে যুক্ত করতে হবে। কারণ কোনো রোগ হওয়ার আগে যদি সচেতন হওয়া যায় এরচেয়ে বড় আর কিছু হতে পারে না। তাই বলবো সচেতনতা অতি জরুরি। আর আমরা মিডিয়ার পক্ষ থেকে সচেতনতা তৈরির কাজটি সব সময় করে থাকি।

ওয়েবিনারের সভাপতি ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এবাদুল করিম এমপি বলেন, সারা বিশ্বের জন্য থ্যালাসেমিয়া একটি ভয়ংকর থ্রেট হিসেবে আসছে। এই থ্রেট আসার আগেই আমরা আমাদের দেশকে কীভাবে রক্ষা করতে পারি এ বিষয়ে বিজ্ঞদের মতামত জরুরি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ যেটা রক্তশূন্যতা তৈরি করে। দুই ধরনের থ্যালাসেমিয়ার মধ্যে মেজর যেটা সেটা বেশি জটিল, মাইনরটা তেমন জটিল না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, থ্যালাসেমিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রতিরোধযোগ্য। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন সেটা করতে রাজি আছি।

ওয়েবিনারে আরও আলোচনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক কাজী হাবিবুল বাশার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ-সার্ভিসেস) ডা. মোহাম্মদ শরীফ, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মাসুমা রহমান, বিএসএমএমইউর মেডিসিন অনুষদের ডিন ও হেমাটোলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মাসুদা বেগম, ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালের হেমাটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ডা. আবু জাফর মো. সালেহ, কেয়ার বাংলাদেশ হেলথ প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ড. ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার।

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের অনকোলজি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক খালেদা আক্তার সিনথিয়া, অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী ফারহিন ইসলাম এবং ঘটক পাখি ভাই প্রা. লি.-এর চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ হোসেন।  

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠর ডেপুটি চিফ রিপোর্টার তৌফিক মারুফ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২১
এসই/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।