ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

২৫ মে থেকে দেওয়া হতে পারে চীনের টিকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
২৫ মে থেকে দেওয়া হতে পারে চীনের টিকা

ঢাকা: আগামী ২৫/২৬ তারিখ (মে) থেকে চীনের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ফ্রন্টলাইনে যারা বাদ পড়েছেন তাদেরই এই টিকা দেওয়া হবে।

সোমবার (১৭ মে) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

চীনের পাঁচ লাখ টিকা কবে থেকে দেওয়া শুরু হবে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫/২৬ তারিখ থেকে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যারা ফ্রন্টলাইনার, প্রায়োরিটিতে ছিলেন কিন্তু বাদ পড়েছেন। তারা এই টিকা পাবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, যে টিকা আছে তা হয়তো এক সপ্তাহ চলবে। রাশিয়া, চীন, ইউকেসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে ভ্যাকসিনের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরই হয়তো এ বিষয়ে সুখবর দেওয়া সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কেনার পাশাপাশি দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে চায় সরকার। দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলিকে কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন সব ধরনের উৎপাদন ক্ষমতা যাচাই-বাছাই করে কিছু নাম সুপারিশ করলে তখন সেগুলি থেকে নির্দিষ্ট করে উপযুক্ত কোনো এক বা একাধিক কোম্পানিকে উৎপাদন ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নেবো।

আরো পড়ুন>>>পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বর্ডার বন্ধ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের সময় মতো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলেই করোনায় এখনো বাংলাদেশ অনেকটাই নিরাপদ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দিনে গড়ে প্রায় চার হাজার মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে এবং দৈনিক ৩-৪ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ ভারতের এত নিকটবর্তী দেশ হয়েও আমাদের দেশে বর্তমানে সংক্রমণ দিনে ৩শ জনের কাছাকাছি নেমে গেছে।

তিনি বলেন, ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে চলে এলেও তাদের সঠিকভাবে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি দেশে এখনো ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তবে আগামী কিছুদিন আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ঈদ শেষে মানুষ যেন আগামী কিছুদিন ঢাকায় ফিরতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যসেবা সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।