খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ শফিকুল ইসলাম। পেশায় ইজিবাইক (টমটম) চালক।
এমন উত্তর পেয়ে পুলিশ তেমন কিছু বলতে না পারলেও ফের বের না করার শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত কঠোর ‘লকডাউনের’ সপ্তম দিনে সড়কে বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যা। গত কয়েকদিনের তুলনায় এই দিন ইজিবাইক, রিকশা বেশি চলতে দেখা গেছে। জুম চাষিরা দূর থেকে হেঁটে উৎপাদিত কৃষিপণ্য এনে বিক্রি করছেন। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রশাসনের কঠোর নজড়দারী থাকলেও অলিগলিতে ছিল উপেক্ষিত। এতদিন অলিগলিতে মানুষের চলাচল থাকলেও মূল সড়ক ছিল ফাঁকা। তবে এখন অনেকটা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন।
এছাড়াও ব্যক্তিগত গাড়ি, পণ্যবাহী বিভিন্ন পিকআপের সংখ্যাও আগের চেয়ে বেড়েছে। কৌশলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন যানবাহন যাত্রী পরিবহন করছে। এখনো দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল বন্ধ রয়েছে। জেলার আভ্যন্তরীণ ও দূর পাল্লার সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ বাংলানিউজকে জানান, সবার বাস্তবতা আমরা বুঝি। কিন্তু বিধিনিষেধ না মানলেতো পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যাবে। তাই আমরা মানুষকে বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরো ৪৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে চলতি মাসে মোট ২৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবমিলেয়ে শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ৪০৯ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আট জনের এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৪.৩৩ শতাংশ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে খাগড়াছড়ি সদরে ১৭ জন, মাটিরাঙ্গায় ১৭ জন, মানিকছড়িতে দুইজন, পানছড়িতে দুইজন এবং দিঘীনালায় ৫ জন।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে হাসপাতালে মোট ৩৬ জন ভর্তি রয়েছে। এরমধ্যে আক্রান্ত ১৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ১৮ জন। পুরো জেলায় ৯৫টি করোনা বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২১
এডি/কেএআর