ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালনের পর কোয়ারেন্টিনে না থেকে রোগী দেখছেন মো. সফিউল্লাহ আরাফাত নামে এক চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বসে রোগী দেখেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের চিকিৎসক আরাফাত গত ৪ ও ৫ জুলাই আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন। ওই ইউনিটে ভর্তিকৃত করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসে তাদের চিকিৎসা সেবা দেন তিনি। নিয়ম অনুসারে আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালনের পর থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কিন্তু আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালনের পর কোয়ারেন্টিনে না থেকে জরুরি বিভাগে বসে রোগী দেখছেন ডা. আরাফাত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. আরাফাত বলেন, ‘স্যার (তত্ত্বাবধায়ক) আমাকে আপাদত অফ রেখেছে। আমি অফ আছি’। আপনি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালনের তিন-চারদিন পরেই নমুনা পরীক্ষা করে যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে তাকে আমরা কাজের অনুমতি দেব। কারণ আমাদের জনবল সংকট থাকে। আমি তাকে (আরাফাত) ডেকে এনে বলেছি তিনদিন পর নমুনা পরীক্ষা করে তারপর যেন কাজে আসে। তাকে কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্ব পালনের পর দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। এর কারণ হলো- যদি তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়ে থাকেন, তাহলে তার মাধ্যমে যেন সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়াতে না পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
এনটি