ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মফস্বলে করোনা চিকিৎসায় ভরসা না পেয়ে ঢামেকে ভর্তি কামরুজ্জামান

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২১
মফস্বলে করোনা চিকিৎসায় ভরসা না পেয়ে ঢামেকে ভর্তি কামরুজ্জামান ঢামেকের করোনা ইউনিটে ভর্তি রোগীর প্রায় ৭০ শতাংশ বিভিন্ন জেলা থেকে আসছেন

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে করোনা ইউনিটে ভর্তি রোগীর প্রায় ৭০ শতাংশ বিভিন্ন জেলা থেকে আসছেন।

অধিকাংশ রোগী শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢামেকে ভর্তি হচ্ছেন।

বিভিন্ন জেলা থেকে আগত রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, মফস্বলের সরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসায় ভরসা না পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তারা ঢাকায় এসেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার কামরুজ্জামান করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার কোহিনুর বেগম করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢামেকের করোনা ইউনিটের নতুন ভবনে ভর্তি হন।

নতুন ভবনের ৯০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি কামরুজ্জামান বলেন, কয়েকদিন অসুস্থতার কারণে গ্রামের স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে করোনা টেস্ট করার পরে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আজ বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি  হই। মফস্বল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে ভরসা পাইনি। মফস্বলের হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার সব সুবিধা এখনও পৌঁছায়নি।

তিনি বলেন, ঢাকা মেডিক্যালে খুব ভালো চিকিৎসা হয়। তাই করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে এসেছি।

নোয়াখালীর গৃহবধূ কোহিনুর বেগম (৩৭) শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢামেকের নতুন ভবনের ৭০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। গত তিন দিন যাবত ঠাণ্ডা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার স্থানীয় দুটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।  

কোহিনুরের বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, গত তিনদিন আগে আমার বোনের সামান্য জ্বর ও বুকে ঠাণ্ডা লাগে। তবে ঠাণ্ডাটা বাড়তে থাকে। পরে সোনাইমুড়ীতে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে তাকে দেখানো হয়। তারা করোনা টেস্ট করাতে বলে। পরে সরকারি একটি হাসপাতালে করোনা টেস্ট করতে দিয়ে স্থানীয় আরেকটি ক্লিনিকে আমার বোনকে ভর্তি করি। সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে আজকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করেছি। স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের এসএমএস এখনও পাইনি।

তিনি আরও বলেন, ভাই গো যদি আমাগো এলাকায় ভালো চিকিৎসা হতো তাহলে কি এই লকডাউনের মধ্যে বোনকে নিয়ে ঢাকায় আসতাম।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, লকডাউনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট নিয়ে যত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ রোগী বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে করোনা রোগীর ঢামেকে যদি এভাবে আসতে থাকে তাহলে এত রোগীর জায়গা আমরা কোথায় দেবো। রোগীদের নিজ জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
এজেডএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।