ঢাকা: আমরা যখন পানি পান করি তখন তা বৃক্ক বা কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রনালি দিয়ে মূত্র হিসেবে বেরিয়ে যায়। মানুষের শরীরের দুটি কিডনি, দুটি ইউরেটার, একটি ইউরিনারি ব্লাডার (মূত্রথলি) এবং ইউরেথ্রা (মূত্রনালি) নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত।
হঠাৎ প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হবে।
প্রস্রাবে দুর্গন্ধ থাকবে।
একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ অনুভব করলেও ঠিকমতো না হওয়া।
প্রস্রাব করার সময় জ্বালা অথবা ব্যথা হবে।
তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হবে।
এই পরিস্থিতে যেসব খাবার থেকে বিরত থাকবেন
কফি, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। ইউরিনের ইনফেকশন ভালো না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত। এসব পানীয় মূত্রাশয়ে সংক্রমণ বাড়াতে পারে। চিনিযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। কারণ রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকলে তা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। এ কারণে যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই, তাদের ক্ষেত্রে ইউরিন ইনফেকশন বেশি দেখা যায়।
মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ এগুলো মূত্রাশয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
মূত্র সংক্রমণের সময় লেবু, কমলার মতো সাইট্রিক ফল এড়িয়ে চলতে হবে। তবে, সংক্রমণ ভালো হলে এই ধরনের সাইট্রিক ফল কিন্তু পরবর্তী সংক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। মূত্র সংক্রমণ ভালো হলে পালংশাক, সবুজ কাঁচা মরিচ, আঙুরের রস, স্ট্রবেরি এসব খান বেশি করে।
যা খাবেন
প্রচুর পানি পান করতে হবে। এতে মূত্রাশয় থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে বের হয় যাবে। জাম খান। কারণ এই ফল ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ব্যাকটেরিয়াকে আটকে থাকতে দেয় না, শরীর থেকে সেই ব্যাকটেরিয়াকে বের করতে সহায়তা করে। দই খান, কারণ এতে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া মূত্রাশয়ের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে ভূমিকা রাখে। ক্র্যানবেরি নামের একটি গুল্ম আছে। এর জুসে প্রচুর ফাইটোক্যামিকেল থাকে যা শরীর থেকেই কোলি ব্যাকটেরিয়া বাইরে পাঠিয়ে দিতে সহায়তা করে। তাই ক্র্যানবেরি জুস পান করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
এএটি