ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনার নতুন ঢেউয়ে সংক্রমণ বেশি হলেও তীব্রতা কম: ডা. লেলিন

রেজাউল করিম রাজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
করোনার নতুন ঢেউয়ে সংক্রমণ বেশি হলেও তীব্রতা কম: ডা. লেলিন ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা:  করোনার নতুন ঢেউ সংক্রমনশীলতা বেশি হলেও রোগের তীব্রতা কম বলে জানিয়েছেন রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
শুক্রবার (২৪ জুন) বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

দেশে প্রতিদনই বাড়ছে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সপ্তাহের ব্যবধানে ভাইরাসটির শনাক্তের হার বেড়েছে শতকরা ৩৮৩ শতাংশ। চলতি মাসের শুরুতে ১ শতাংশের নিচে থাকা সংক্রমণের হার বর্তমানে ১৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত জানুয়ারিতে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সর্বোচ্চ হার ছিল ৩৩ শতাংশ। সেদিন শনাক্ত হয়েছিল ১৫ হাজার ৪৪০ জন। গত ৬ জুন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে থাকলেও ৭ জুন থেকে তা এক শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এরপর প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ১ হাজার ৩১৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এবারে করোনা খুবই দ্রুত গতিতে চুড়ার দিকে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাদের করোনার উপসর্গ রয়েছে, তারা যদি সবাই করোনা পরীক্ষা করাতো তাহলে করোনা শনাক্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যেত। আমাদের চারপাশের রোগীর সংখ্যা দেখেই এটা আমরা ধারণা করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, এবার করোনা রোগের লক্ষণগুলো আগের মতো তীব্র নয়, অনেকাংশেই কম। রোগের তীব্রতা কম হওয়ার কারণেই বেশিরভাগ মানুষ করোনা পরীক্ষা করছেনা। প্যারাসিটামল কিংবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধেও অনেকে ভালো হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে করোনা আক্রান্ত রোগী ডাক্তারের কাছে এবং হাসপাতালে কম যাচ্ছেন।

এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, করোনা রোগে বর্তমানে তীব্রতা কমের দুটো কারণ হতে পারে- একটি হচ্ছে অধিকাংশ লোক দুই বা তিন ডোজ টিকা নিয়েছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে ওমিক্রনের বিএ৪ এবং বিএ৫ দুটি উপধরনের কারণে রোগের তীব্রতা কম। তাই এসবকিছু পর্যবেক্ষণ করে বলা যায়, সংক্রমনশীলতা বেশি হলেও রোগের তীব্রতা কম। টিকার কারণে লোকজনের শরীরে করোনার বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধের সুরক্ষা ক্ষমতা রয়েছে। ফলে যে হারে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, তার তীব্রতা বোঝা যাচ্ছেনা, হাসপাতালেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

দেশবাসীকে সম্মিলিতভাবে করোনা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান করোনা শনাক্ত রোগীর অধিকাংশই ঢাকার। ঢাকার মধ্যে ইতোমধ্যে করোনা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েই গিয়েছে। সামনেই কোরবানির ঈদ আসছে, ঈদকে কেন্দ্র করে জন চলাচল বেড়ে গেলে ঢাকার বাইরে করোনা বিস্তৃত হবে। এটা অবশ্যই একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই চলাচলের সময় আমরা সবাই যেন মাস্ক পরি এবং যে যেখানেই থাকুক, যাদের টিকা নেওয়া হয়নি, তারা যেন দ্রুত করোনার টিকা নেন আমরা সবাইকে সেই আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২২
আরকেআর/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।