ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউতে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের ব্যবস্থার অঙ্গীকার এলজিআরডি মন্ত্রীর 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
বিএসএমএমইউতে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের ব্যবস্থার অঙ্গীকার এলজিআরডি মন্ত্রীর  ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে যত টাকার প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।  

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বিএসএমএমইউর এ ব্লকের হলরুমে ‘থ্যালাসেমিয়া এন ইমার্জিং ন্যাশনাল হেলথ ইস্যু: ওয়ে টু মিনিফাই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ অঙ্গীকার করেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এখানে এসে আমি জানতে পারলাম প্রায় ১০ শতাংশ লোক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। আমরা যদি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ক্রস কাপল নির্বাচন করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে দেই, তাহলে এ রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে আমরা সবাই জনগণের কল্যাণে অঙ্গিকারবদ্ধ। থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্মুলে যা করা দরকার আমরা করবো।  

তিনি আরও বলেন, বিএসএমএমইউ উপাচার্য আমাকে বললেন, মাত্র ৪/৫ কোটি টাকা হলে, এখানে থ্যালসেমিয়া রোগীর বোনম্যারু প্রতিস্থাপন করা এখনি সম্ভব। এটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমাদের ভিসি সাহেবের উৎসাহকে সন্মান জানানোর জন্য ঘোষণা দিচ্ছি, এটার জন্য যে টাকা লাগবে আমি সেটার ব্যবস্থা করে দেব।  

আলোচনা সভা থেকে জানানো হয়, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশানুক্রমিক রোগ। দেশের জনগনের প্রায় ৬-১২% মানুষ বিভিন্ন ধরনের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। এছাড়াও প্রতিবছর প্রায় সাত হাজার নতুন শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগের জীনসহ জন্ম নেয়। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী অন্যটি থ্যালাসেমিয়ার বাহক।

যারা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী তাদেরকে প্রতি মাসেই একবার থেকে দুই বার রক্ত দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয় এবং তারা সারাজীবন এ রোগ বহন করে বেড়ান। এদের অনেকেই বিশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন। বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন করে চিকিৎসা করা হলে এদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন জটিল, ব্যয়বহুল ও অপ্রতুল।

অন্যদিকে যারা থ্যালাসেমিয়ার বাহক তারা এই রোগ বহন করেন এবং আরেকজন বাহককে বিবাহ করলে তাদের সন্তানদের এই রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। কিন্তু একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক যদি একজন স্বাভাবিক সুস্থ ব্যক্তিকে (বাহক নয়) বিবাহ করে তবে তাদের সন্তানদের থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা নেই।  

বিএসএমএমইউ পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগ ও মুভমেন্ট ফর থ্যালাসেমিয়া ইরাডিকেশন ইন বাংলাদেশের (এমটিইবি) যৌথ উদ্যোগে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।  

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পুনবার্সন ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তুম আলী ফরাজী, সংসদ সদস্য ডা. মো. আব্দুল আজিজ, সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
আরকেআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।