ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রাসিকের ৩ ওয়ার্ডে ৯ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
রাসিকের ৩ ওয়ার্ডে ৯ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) তিনটি ওয়ার্ডের ৯ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে বলে তথ্য উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী মহানগরীর নির্বাচিত তিনটি ওয়ার্ডের ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়ন বিষয়ক কার্যক্রমের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের এই তথ্য উঠে এসেছে।

দুপুরে নগর ভবনের সরিৎ দত্তগুপ্ত সভাকক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ইউএস সিডিসি (US CDC) এর অর্থায়নে ও সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের কারিগরী সহায়তায় নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় এই পুষ্টি মূল্যায়ন বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনার পর আজ ফল প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।  

সংবাদ সম্মেলনে শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়ন বিষয়ক কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন করেন- সেভ দ্য চিলড্রেন ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনস্বাস্থ্য রোগতত্ত্ববিদ ডা. তামান্না বাসার।

ডা. তামান্না বাসার জানান, দেশের সব সিটি করপোরেশনে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী সিটি করপেরেশনের ৭, ১৫ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ‘অপুষ্টি যাচাইকরণ ও পুষ্টি প্যাক বিতরণ কর্মসূচি’ বিষয়ক ৫২ দিনব্যাপী অপুষ্টি যাচাইকরণ এবং পুষ্টি প্যাক বিতরণ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। ক্যাম্পেইনের আওতায় ২৪ এপ্রিল থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ওই তিনটি ওয়ার্ডে অপুষ্টি যাচাইকরণ, পুষ্টি প্যাক বিতরণ, জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পোস্টার, লিফলেট বিলি করা হয়।

ডা. তামান্না বাসার জানান, ক্যাম্পেইন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৭, ১৫ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্লাম এরিয়ায় মোট ৩১৮৪ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। ছেলে শিশু মেয়ে শিশুর চেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে।

কর্মসূচির আওতায় মহানগরীর ৩১৮৪ জন শিশুর সঠিক ওজন ও উচ্চতা যাচাই, অপুষ্টি কী, পুরিপুরক খাবার এবং কোন বয়সে কী পরিমাণ খাবার খেতে হবে সে সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুদের মাঝে ২৪ হাজার ৭৫০ পুষ্টি প্যাক সরবরাহ করা হয়। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুদের বয়সের সাথে বেড়ে ওঠা স্ক্রিনিং এবং পুষ্টি কার্ড বিতরণ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি হাসপাতালের (আবাসিক) মেডিক্যাল অফিসার ডা. তারিকুল ইসলাম বনি, মেডিক্যাল অফিসার ডা. আমিনা ফেরদৌস, ভেটেরিনারি সার্জন ড. ফরহাদ উদ্দিন, সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।