ঢাকা: কানাডা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনয়েট পিয়ারি লারামি।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিসিসিআই ও কানাডা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ক্যানচেম) যৌথভাবে ‘২০১৫ সালে বাণিজ্যে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার অর্জন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্যে দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। গত ১৫ বছরে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে দু’দেশের ক্ষদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উত্তরোত্তর উন্নতি চায় এবং এ লক্ষ্যে কানাডার পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি অন্য খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজের পরিবেশের উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে (আইএলও) আট মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, কানাডা বাংলাদেশের জন্য সপ্তম বৃহত্তম বাজার। এটি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে গত দশকে কানাডার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা দেওয়ার কারণে।
ক্যানচেম সভাপতি মাসুদ রহমান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়বে। এ লক্ষ্য অর্জনে কানাডায় রফতানি করা পণের বহুমুখীকরণ আবশ্যক।
আলোচনায় ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) সভাপতি রূপালী চৌধুরী, ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি এম এইচ রহমান, নেসার মাকসুদ খান, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, খ. আতিক-ই-রাব্বানী, পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৬
আরইউ/এসএনএস