রাত ৯টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টার ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অসংখ্য লিচু বাগান। একই সঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উঠতি ফসলের।
ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের লিচু চাষি আজম আলী বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, পরপর দুইবার কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের গ্রামের সব লিচুর বাগানের লিচু ঝরে গেছে। আবার শিলাবৃষ্টির কারণে লিচু ফেটে গেছে। এই মৌসুমী ফল বিক্রি করে আমাদের অনেকের সংসার চলে। এখন কীভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেবো বুঝতে পারছি না।
পাকশী গ্রামের লিচু বাগান মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, লাভের আশায় ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ করে ১০টি বাগান কিনেছিলাম, কিন্তু এবারের ঝড়ে লিচুর বাগানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকার লিচুর নষ্ট হয়েছে। এছাড়া আমাদের এলাকাসহ আশেপাশের আওতাপাড়া, দাপুনিয়া, আটঘরিয়া ও একদন্ত গ্রামের সব বাগান মিলিয়ে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এই বিষয়ে পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (উদ্যান) আবুল খায়ের বলেন, পাবনার বেশ কিছু এলাকা বিশেষ করে পাকশী, ছলিমপুর, আটঘরিয়া, একদন্ত, জালালপুর এলাকায় ছোট বড় বেশ কিছু লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে। শিলাবৃস্টি আর কালবৈশাখী ঝড়ে লিচুর বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ জরিপ না করে বলা কঠিন। তবে লিচুতে পাক ধরেছে। এখন বেশিরভাগ এলাকায় চলছে লিচু আহরণের কাজ। তাই লিচু চাষি এবং মালিক পক্ষ কিছু টাকা রোজগার করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এসআই