বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল এগারোটায় বিটিআরআই এর প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) সেমিনার কক্ষে ব্ল্যাক টি (কালো চা) এর চা আস্বাদন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
চা আস্বাদন কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেন গ্রুপ প্রডাকশন ডিপার্টমেন্ট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ ও রিয়াদ আরেফিন এবং ঊর্ধ্বতন খামার সহকারী মজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের চায়ের মান উন্নয়নে বাংলাদেশ চা বোর্ড, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশীয় চা সংসদ, টি ব্রোকার্স হাউজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন। বাংলাদেশ চায়ের গুণগত মান উন্নয়নের এই ধারা বজায় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এম সাইফুল ইসলাম চা আস্বাদন অনুষ্ঠানে আগত প্রায় প্রতিটি চা বাগানে নিজস্ব ফ্যাক্টরি থেকে তৈরিকৃত ড্রায়ার মাউথ চাসহ বিভিন্ন গ্রেডের চা পান করে যাচাই করেন। তিনি অভিমত প্রকাশ করেন, উচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন চায়ের চাহিদা সর্বত্র। ভালো চা তৈরি করলে ভালো মূল্য পাওয়া যাবে। মান যাচাই শেষে অংশগ্রহণকারী বাগানগুলোকে তাদের চায়ের গুণাগুণ সম্পর্কে লিখিত রিপোর্ট দেওয়া হয়।
ব্ল্যাক টি আস্বাদনী অধিবেশনের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে মূল আকর্ষণ ছিল ‘ভ্যালু এডেড টি’ আস্বাদনী অধিবেশন। এই অধিবেশনে বিটিআরআই প্রস্তুতকৃত প্রায় বিশ প্রকারের ভ্যালু এডেড টিসহ অন্যান্য চা বাগানের ভ্যালু এডেড টি প্রদর্শন করা হয়। অধিবেশনে সদ্য অবমুক্তকৃত বিটি-১৯ এবং বিটি-২০ দ্বারা তৈরি হোয়াইট টি, অর্থোডক্স টি এবং টিসিটি প্রদর্শন করা হয়। যা টি টেস্টারসহ আগত অতিথিদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
এই চা আস্বাদনে বাংলাদেশের ৮২টি চা বাগানের ১১৮ জন উচ্চ পর্যায়ের চা বাগান কর্তৃপক্ষ, ব্রোকার্স এবং চা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘন্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
বিবিবি/জেডএম