ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

আরেক দফা কমালো বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের দাম

ব্যবসা-অর্থনীতি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৮
আরেক দফা কমালো বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের দাম বসুন্ধরা এলপি গ্যাস

ঢাকা: সর্বাধিক বিক্রিত বসুন্ধরা এলপি গ্যাস এখন গ্রামেগঞ্জেও বাসা-বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোক্তাদের কথা চিন্তা করে এলপিজির দাম আরও এক ধাপ কমিয়েছে বসুন্ধরা। 

রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ দাম কমানো হয়েছিল গতবছরের ডিসেম্বরে।

 

এতে বলা হয়, রোববার থেকে বসুন্ধরার ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২০ টাকা, ৩০ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা এবং ৪৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৫ টাকা করে কমানো হয়েছে।  

বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং এম এম জসীম উদ্দীন বলেন, গত ২০ বছর ধরে এলপি গ্যাসের বাজারে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে বসুন্ধরা। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির মার্কেট শেয়ার ৩০ শতাংশেরও বেশি। সাম্প্রতিককালে অনেক বড় বড় কোম্পানি এলপি গ্যাসের বাজারে প্রবেশ করেছে। প্রতিযোগিতামূলক এই বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কারণে বসুন্ধরা তার অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে।  

‘বিকল্প জ্বালানি হিসেবে গত ৪-৫ বছর ধরে সরকার এলপি গ্যাসকে উৎসাহিত করছে। এখন প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে গৃহস্থলীর ব্যবহারে এলপি গ্যাসকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকারের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বসুন্ধরা গ্রুপ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। ’ 

গত এক বছর ধরে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় বসুন্ধরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমে এলপি গ্যাস বিক্রি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বল্প মুনাফা করে আরও কিছুটা দাম কমানো সম্ভব। সে কারণে আবারও আরেক দফা দাম কমানো হলো। এর আগে দাম কমানো হয়েছিল গত বছরের ৫ ডিসেম্বর।  

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলপি গ্যাস বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত সরকারের জ্বালানিবান্ধব নীতিমালা পরিপালনের চেষ্টা করছে। দেশে এখন প্রতিমাসে ৫০ হাজার মেট্রিকটন এলপি গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে।  

এ খাতের উদ্যোক্তারা বরাবরাই সরকারের কাছে একটি দাবি করে আসছে। তা হলো-সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামালের আমদানির ওপর শুল্কছাড় দেওয়া।  

গ্যাস সিলিন্ডার আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ মূল্যসংযোজন কর বা ভ্যাট উঠিয়ে দেওয়া হলেও সিলিন্ডারের কাঁচামালের আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার বা কমানো হয়নি।  

জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও আছে কেবল ৭ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে গ্রাম-গঞ্জে এলপি গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে পারলে জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার কমবে এবং বনভূমি রক্ষা পাবে।  

আর এই কাজটি করতেই এলপি গ্যাসের দাম কমিয়ে এক ধরনের প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা করছে এলপি গ্যাস বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।