রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের কর্ণফূলি নদীসহ ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্স’র ৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
টাস্কফোর্স সভাপতি নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, পরিবেশ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে রিলোকেটেড করা হলে পরিবেশ ও পানি দূষণ কমে যাবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ইউটিলিটি সেবা গ্রহণ ও দূষণরোধে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে। পরিবেশ ও নদীর পানি দূষণরোধে সাভারে অবস্থিত ট্যানারির সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) ত্রুটিমুক্ত করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সিইটিপি সম্পূর্ণভাবে স্থাপন ও কার্যকরী না হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদারের বিল পরিশোধ না করতে সভায় নির্দেশ দেওয়া হয়।
সভায় আরও জানানো হয় যে, বুড়িগঙ্গা নদীর সম্পূর্ণ অংশ, তুরাগ নদীর আংশিক এবং ধলেশ্বরী নদীর আংশিক সীমানা পুনঃজরিপ করা হয়েছে। আপত্তিকৃত ১১৫৪টি পিলারের মধ্যে ৭৬২টি পিলারের পুনঃজরিপ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি আপত্তিকৃত পিলারের পুনঃজরিপ কাজ চলমান রয়েছে। সীমানা পিলার উচ্ছেদ বন্ধ করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
‘ঢাকা মহানগরের ৪৬টি খালের মধ্যে ২৬টি চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি খাল উদ্ধার, সংস্কার ও পাড় বাঁধাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা শহরের খালগুলো খননের জন্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। বুড়িগঙ্গা উদ্ধারে জরিপ কাজ সম্পন্ন এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে আটজন সার্ভেয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নদী তীরের অননুমোদিত স্থানে স্থাপিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এসই/জেডএস