ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

সিপিডির মতে ঝুঁকিতে শিল্পখাত, চিন্তিত নয় বিজিএমইএ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
সিপিডির মতে ঝুঁকিতে শিল্পখাত, চিন্তিত নয় বিজিএমইএ সিপিডির সংলাপে বক্তারা

ঢাকা: ইউরোপের মার্কেটে ডিউটি ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বন্ধ হওয়ার পর বড় ধরনের ধাক্কা খাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এ ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে এখন থেকেই পরিকল্পনা নিতে সতর্ক করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

তবে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, আমরা চিন্তিত নই, আরো ১০ বছর সময় রয়েছে; এর মধ্যে বাংলাদেশ অনেক দূর পৌঁছে যাবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে শ্রমের মানোন্নয়ন শীর্ষক সংলাপে এমন মতামত উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৫ মে) খাজানার গার্ডেনিয়া ব্যানকুয়েট হলে সিপিডির আয়োজনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের পর ডিউটি ও কোটামুক্ত বাণিজ্যের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এখনই উদ্যোগ না নিলে বাংলাদেশ বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। তবে সুযোগ রয়েছে এসডিজি বাস্তবায়ন করে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মতো এসডিজি প্লাসের সুবিধা নিতে।

এসডিজি প্লাসের সুযোগ পেতে হলে শ্রমের মান, শ্রমিকের অধিকার, নিরাপত্তা, কর্মের পরিবেশসহ বেশ কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। সরকার অনেকগুলো কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। শুধু মানলে হবে না বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে নন ফরমাল শ্রমিক আউটসোর্সিংসহ অনেক বিষয় নীতিমালায় আনতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা মোটেই চিন্তিত নই।  

পাশে বসা এলএফএমইএবি’র সহ-সভাপতি নাসির খানকে ইঙ্গিত করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমাদের এক ভাই বলেছেন আমেরিকা জিএসপি বাতিল করেছে। তাতে কি আমাদের রপ্তানি কমেছে? কমেনি।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা অ্যাকর্ড’র ৯০ শতাংশ শর্ত পূরণ করেছি। অন্যান্য শর্ত পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমার মনে হয় আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিবর্তন করতে পারবো। কিন্তু পোশাক খাতে ৪৪ লাখ শ্রমিক রয়েছে, তাদের কথা ভাবতে হবে। তারা তো দ্রুত অন্য কাজ শিখতে পারবে না।

বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর গার্মেন্ট শিল্পে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু সেসবের কোনো প্রচার নেই। বিদেশে শুধু নেগেটিভ প্রচারণা চলছে। আমাদের অর্জনগুলো প্রচার করতে হবে। আর তা উঠতে হবে ঘর থেকেই।

সংলাপে অংশ নেন আইএলও প্রতিনিধি গগন রাজভান্ডারী। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। সংলাপে অংশ নেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সেক্রেটারি জেনারেল ওয়াজেদুল ইসলাম খান ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এসআই/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।