ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২১
পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দ

ঢাকা: বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন বন্ধ ঘোষিত মিলসমূহের ২১ হাজার ৫৫২ জন শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য মোট ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) অর্থমন্ত্রণালয় এ অর্থ বরাদ্দ দেয়।

বরাদ্দকৃত এ অর্থ শ্রমিকদের নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে দেওয়া হবে।

বিজেএমসির বন্ধঘোষিত পাটকলসমূহের বদলি শ্রমিকদের জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ ও জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১০-এর পার্থক্য জনিত বকেয়া পাওনা পরিশোধের এ অর্থ প্রদান করবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

বরাদ্দ পত্রে বলা হয়েছে, আজ অর্থ মন্ত্রণালয় ‘পরিচালন ঋণ’ বা ‘অপারেশন লোন’ হিসেবে এ টাকা বরাদ্দ দেয় । তবে বরাদ্দকৃত অর্থ ২০২১-২২ অর্থবছরের বিজেএমসির অধীন ১৮টি মিলের ২১ হাজার ৫৫২ জন বদলি শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধ ব্যতীত অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবে না।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন বন্ধ ঘোষিত মিলসমূহের বদলি শ্রমিকদের এনআইডি ও ব্যাংক হিসাব আছে এমন ২১ হাজার ৬৪৩ জন শ্রমিকের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ২১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। ওই শ্রমিকদের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ এনআইডি রয়েছে ৯১ জনের ও তাদের অনুকূলে আর্থিক সংশ্লেষ ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। ত্রুটিপূর্ণ এনআইডিভুক্ত শ্রমিক বাদে অবশিষ্ট ২১ হাজার ৫৫২ জন বদলি শ্রমিকের অনুকূলে বকেয়া পাওনা বাবদ মোট ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘পরিচালন ঋণ’ খাত হতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজেএমসির অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিকের মিল প্রদত্ত টোকেন ও ইউনিক আইডি নম্বর, এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। আবশ্যিকভাবে এনআইডি যাচাই করে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। কোনোভাবেই এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব ব্যতীত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা যাবে না। বদলি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধকালে মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পরিশোধ করবে।

বকেয়া পাওনা পরিশোধকালে পাওনার বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি দৃষ্টিগোচর হলে বিজেএমসি/মিল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেবে। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোন অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। বরাদ্দকৃত অর্থের জন্য অর্থ বিভাগের সাথে বিজেএমসিকে একটি ঋণচুক্তি সম্পাদন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।