ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘ডিজিটাল কনটেন্টে দেশীয় সংস্কৃতি যুক্ত না হলে বিপদের সম্ভাবনা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
‘ডিজিটাল কনটেন্টে দেশীয় সংস্কৃতি যুক্ত না হলে বিপদের সম্ভাবনা’

ঢাকা: ডিজিটাল কনটেন্টে যতক্ষণ পর্যন্ত দেশীয় সংস্কৃতি যুক্ত না হবে বিপদের সম্ভাবনা তত বাড়তেই থাকবে বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর এক হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘স্মার্ট কানেক্টিভিটি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল সংযুক্তি প্রসারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিক বিবর্তন। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তির ওপর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইন্টারনেট প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল কনটেন্টের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তা না হলে নতুন প্রজন্ম নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে যাবে। ডিজিটাল কনটেন্টে যতক্ষণ পর্যন্ত দেশীয় সংস্কৃতি যুক্ত না হবে বিপদের সম্ভাবনা তত বাড়তেই থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশের বড় চ‌্যালেঞ্জের নাম হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা।

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট মানুষ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্মার্টনেস পোশাকে নয় স্মার্টনেসের জন্য দরকার প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন।

ইন্টারনেটের পাশাপাশি স্মার্ট দুনিয়ায় কনটেন্টের গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এখন আমরা এমন একটি পর্যায়ে আছি, যেভাবে প্রতিদিন অনলাইনে জুয়া বসে; মেসেঞ্জার, হোয়াটসআপ ব্যবহার করে হয়রানি করা হয়; সেখানে আমরা একপর্যায়ের অসহায়ত্বের মধ্যে পড়ে গেছি। এটা রোধে ইন্টারনেটে কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।

এই অবস্থাটা আগামীতে আরও ভয়ংকর হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেটা মোকাবিলা করতে হবে। আমরা যত বেশি স্মার্ট হবো তত বেশি আপদ-বিপদ আসবে।

এই ব্যাপারে গণসচেতনতা তৈরির জন্য সাংবাদিকরা অতীতের মতো আগামীতেও ভূমিকা রাখবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করার উত্তম উপায় হচ্ছে প্রযুক্তি সাধারণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। তা না করতে পারলে জাতিকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। আমরা সে কাজটি দৃঢ়তার সঙ্গে করছি।  


আইএসপি ব্যবসায়ীদের ব্রডব্যান্ড গ্রাহক খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা ঘরে ঘরে কম্পিউটার পৌঁছে দিয়েছেন। চাহিদা সৃষ্টি করেছেন। আপনাদেরকেও গ্রামে গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে হবে। কেননা ডিজিটাল রূপান্তর মানেই জীবন-জীবিকার মনোন্নয়ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে কানেক্টিভিটি, কানেক্টিভিটি এবং কানেক্টিভিটি।  


টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ, ডিআইজি হায়দার আলী খান, এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফারহাদ, আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক, ফাইভার অ্যাট হোমের কর্মকর্তা সুমন সাব্বির এবং টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন বক্তব্য দেন।  


অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটবের সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির।


সেমিনারে মূল প্রবন্ধে টিআইএম নূরুল কবির তরুণদের বক্তব্য শুনে স্মার্ট সমাজ, সরকার ও সেবার নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

একইসঙ্গে অংশীজনদের নিয়ে বিদ্যমান নীতিমালায় ঘাটতিগুলো খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন।


বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।