ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক সম্ভাবনা বাংলাদেশের

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক সম্ভাবনা বাংলাদেশের

ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দিকী বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।  

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ক্যানবেরার বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

 

সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিনিধিসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরাও জুম প্লাটফর্মে সেমিনারে যুক্ত ছিলেন।  

এ সময় হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।  

অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (এবিবিসি), অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (এবিবিএফ) এবং বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল সিডনির সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিসের (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) প্রেসিডেন্ট রাসেল টি. আহমেদ।  

রাসেল টি. আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার। এক্ষেত্রে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ৭.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, ইন্টারনেট অব থিংস, সাইবার সিকিউরিটি এবং ক্লাউড কম্পিউটিংসহ পাঁচটি সম্ভাবনাময় রপ্তানির ক্ষেত্র উল্লেখ করেন।

অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের স্টুয়ার্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মনোরঞ্জন পাল বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ১২তম বৃহত্তম মার্কেট। সাইবার সিকিউরিটি, কোয়ান্টাম টেকনোলজি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে।  
এছাড়া টেকনিক্যাল সাপোর্ট, সফটওয়্যার উন্নয়ন, অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সেদেশে বর্তমানে চাহিদা রয়েছে বলে জানান মনোরঞ্জন পাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
টিআর/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।