বিশ্বের সুপ্রতিষ্ঠিত ও শীর্ষস্থানীয় ই-রিটেইলার কোম্পানি অ্যামাজন। ইতিমধ্যে কিন্ডল ফায়ার পণ্যের মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে আলোচনার কেন্দ্রমুখে রয়েছে।
আবারও তারা স্মার্টফোনের রমরমা বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। প্রতীক বা ব্র্যান্ড হিসেবে পণ্যের নামকরণ হবে অ্যামাজন স্মার্টফোন। সার্বজনীনের সম্ভাবনামূলক পর্যায়ে পণ্যটি সরবরাহ করে সুপরিচিত করে তোলার অভিপ্রায় অ্যামাজনের।
তাইওয়ানের বহুজাতিক প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ‘হন হেই প্রিসিশনের’ ফক্সকোন গ্রুপ এই স্মার্টফোন তৈরি করবে। এর আগে অ্যামাজনের কিন্ডল ফায়ার তৈরিতে যাদের মনোনীত করা হয়েছিল। যে পণ্যটি বিশ্বের জায়েন্ট প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আইপ্যাড ছাড়াও আরও অনেকের সাথে লড়ার সামর্থ্য জুগিয়েছে। ‘সেটেল-বেজড’ এ বুক সেলার ইতিমধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিন্ডল ফায়ার বিক্রি করেছে।
উল্লেখ্য, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে অ্যামাজন ব্র্যান্ড স্মার্টফোন আনার খবর বেরিয়েছে। তবে যথার্ততা এখনও অস্পষ্ট। কারণ অ্যামাজনের কতিপেয় প্রতিনিধিরা বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীপ্রাপ্ত অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজস, যিনি স্মার্টফোনের কিছু নকশাও করেছে। গত বছরে জেফ এ পণ্যের পেটেন্ট গ্রহণ করে। পণ্য উন্নয়ন তহবিলের জন্য এ পর্যন্ত অ্যামাজনের বিপুল সংখ্যক কোষাগার আছে । চলতি বছরের প্রথম অর্ধের অর্থ ও বিনিয়োগ প্রতিবেদনে সীমাতিরিক্ত অর্থের পরিমান ৫.৭১ বিলিয়ন ডলার । বেজস, গত অক্টোবরের কিন্ডল ফায়ার উন্মোচনের সময় জানান ট্যাবলেট ব্যবসা আরম্ভে প্রতিষ্ঠানের অর্থের পরিমান ছিল শুধু ২০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, সাদামাটা গঠনের কিন্ডল ই-রিডার সাফল্যের সাথে প্রমাণ করেছে এটি জনপ্রিয়। এছাড়া বাজারের নামকরা প্রতিদ্বন্দীদের সাথে টেক্কা দিয়ে চলার। তিনি আশান্বিত এ বছরে ১২৬ মিলিয়ন ইউনিট কিন্ডল বিক্রি করার ।
এদিকে অ্যামাজনের গত সপ্তাহের ব্যবসায়িক লেনদেনের পরিসংখ্যান ২.০১ কমে ২২৫ ডলার হয়। চলতি বছরের এ পর্যন্ত তারা ৩০ শতাংশ অর্জন করেছে। অন্যদিকে অ্যাপলের শেয়ার ৪.০৬ ডলার কমে এখন ৬০৫.৮৮ ডলার। এ বছরে তাদের অর্জন প্রায় ৫০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ঘন্টা, ১১ জুলাই, ২০১২