বিশ্ব এখন অলিম্পিকের সূচনার দিকে তাকিয়ে। এবারের আসর বসছে ঐতিহাসিক শহর লন্ডনে।
এবারের অলিম্পিক আসরে সবচেয়ে সক্রিয় মিডিয়া হয়ে উঠবে সামাজিক সাইটগুলো। এর মধ্যে টুইটার, ইউটিউব এবং ফেসবুক আছে আলোচনার একেবারে শীর্ষে।
এরই মধ্যে ১৪ কোটি টুইটার এবং ৯০ কোটি ফেসবুক গ্রাহকের কাছে অলিম্পিকের খুটিনাটি তথ্য পৌঁছে যেতে শুরু করেছে। এবারের অলিম্পিকের গণমাধ্যম হবে সামাজিক সাইট। এমন বার্তা আগেই জানিয়েছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞেরা। এ ছাড়া অলিম্পিকের ইতিহাসে এবারই প্রথম স্যোশাল মিডিয়ার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার হতে যাচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলাধুলার আসরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নতুন বার্তা যোগ করবে। এটা আয়োজক সূত্রেও জানানো হয়। গত আসরে স্যোশাল মিডিয়া আর স্মার্টফোনের এত বিশাল ভক্ত ছিল না। ইন্টারনেটের সুবাদে স্মার্টফোনে এখন ছবি, ভিডিও এবং লাইভ সম্প্রচার সবার জন্যই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।
প্রতিটি ইভেন্টের তাৎক্ষণিক ফলাফল আর সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে সামাজিক মিডিয়াগুলোও বিশেষ ফিচার তৈরি করেছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য অ্যাপ। তবে অলিম্পিক প্রতিযোগীদের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এতে খানিকটা ছন্দপতন হয়েছে।
ইন্টারনেট গবেষণা সংস্থা গ্রুপ সূত্র জানিয়েছে, অলিম্পিক আসরকে কেন্দ্র করে লন্ডনে ইন্টারনেটে ব্যাপক চাহিদা বাড়বে। এমনকি বিশ্বের সবগুলো দেশ থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা এরই মধ্যে লন্ডনে হাজির হয়েছেন। এখান থেকে প্রতিমুহূর্তে খরব সংগ্রহ আর সম্প্রচারে ইন্টারনেটই অবাধ মাধ্যম।
তাই পুরো লন্ডনজুড়ে ব্যাপক ইন্টারনেট চাহিদা সামাল দিতে ব্রডব্যান্ড এবং ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনাকে সুবিন্যাস্ত করেছে অলিম্পিক কমিটি। এমনকি অলিম্পিক মিডিয়া জোনেও থাকছে নিরবিচ্ছিন্ন এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট।
লন্ডন অলিম্পিক সূত্র জানিয়েছে, সবশেষ বেইজিং অলিম্পিকে ইন্টারনেট এবং সামাজিক মিডিয়ার যতটা উপস্থিতি এবং চাহিদা ছিল এবারে তা অনেক বেশি। বলতে গেলে কয়েকগুণ বেশি। তবে আয়োজক হিসেবে লন্ডন এ বিষয়টি আগেই অনুমান করেছিল।
এ ছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিং এবং আপডেটের কারণে সার্ভার ব্যবস্থাপনাতেও বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)।
এবারের অলিম্পিকে হাত ধরে ব্রডকাস্ট ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে। এ সুযোগটি কোনোভাবেই হাতছাড়া করবে না লন্ডন। আর তাই প্রস্তুতিটাও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক।
লন্ডন অলিম্পিকের পুরো স্পোর্টস জোনে থাকবে ওয়াইফাই ইন্টারনেটের আওতায়। সঙ্গে নিশ্চিত করা হবে সর্বোচ্চ গতির ব্রডব্যন্ড। আর স্মার্টফোন অলিম্পিকের প্রতিটি মুহূর্তেকে আরও উপভোগ করে তুলতে তৈরি হয়েছে হাজারো অ্যাপ।
লন্ডন অলিম্পিকের পুরোটা সময়জুড়ে ইন্টারনেট হাবের জাদুকরী তথ্যবার্তা মাতিয়ে রাখবে পুরো বিশ্বের অলিম্পিক ভক্তদের। অলিম্পিক মহাযজ্ঞের আসরে এবার তাই স্যোশাল মিডিয়ার জয়জয়কার। সঙ্গে আছে স্মার্টফোনের অবিচ্ছেদ্য বার্তা। সব মিলিয়ে লন্ডন অলিম্পিককে নতুন মাত্রায় পৌছে দিতে নিউ মিডিয়া এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। অপেক্ষা শুধু অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিক পর্দা উন্মোচনের।
বাংলাদেশ সময় ২০৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১২