এবারে বিজ্ঞানে তিন মার্কিন নোবেলজয়ী ওবামার পক্ষে ভোট দেওয়ার প্রচারণায় অংশ নিলেন। এ বিষয়ে তারা একটি চিঠিতে উল্লেখ করেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে ওবামার ভূমিকা ছিল অসাধারণ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালেও ৬১তম ক্যামিস্ট্রিতে নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী ওবামার পক্ষে এ ধরনের একটি চিঠি সই করেন। ২০০৮ সালের নোবেলজয়ী অধ্যাপক মার্টিন কালফি ওবামাকে ভোট দেওয়ার পক্ষে চিঠি সই দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতার উদ্যোগ নেন। অধ্যাপক মার্টিন এ সম্পর্কে বলেন, যারা আমাদের গবেষণায় সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করবেন, আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পক্ষেই কথা বলা।
এবারে রসায়নে দুই নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী রবার্ট লেফকোইজ এবং ব্রায়ান কবিলকাকে বিষয়টি সম্পর্কে ইমেইলের মাধ্যমে অধ্যাপক মার্টিন জানান। ইমেইলে সাড়াও দেন দুই বিজ্ঞানী। অধ্যাপক কবিলকা বলেন, ওবামা প্রশাসন গবেষণা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সক্ষম। এ বিষয়টি ওবামা অনুধাবন করতে পেরেছেন।
কবিলকা বলেন, অন্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রমনি সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু জানি না। তবে যতটুকু জানতে পেরেছি তিনি বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দ কমানোর পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। আমার মনে হয়েছে, এটি কখনই যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ মেনে নেবে না। আমিও মানতে পারিনি। দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই আমি ওবামার পক্ষে চিঠিতে সই করেছি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ ধরনের চিঠিতে সই নতুন কোনো প্রচারণা নয়। ২০০৮ সালেও নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সই করেছেন। ১৯৯৭ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী স্টিভেন চু এবং ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে মেডিসিনে নোবেলজয়ী ড.হ্যারোল্ড ভারমাস এ ধরনের চিঠি সই আনুষ্ঠানীকতায় অংশ নেন।
এভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখেন। তারও উদাহরণ আছে অবশ্য। কারণ এ সময়ে অধ্যাপক চু ওবামা সরকারের অ্যানার্জি সেক্রেটারি এবং ড. হ্যারোল্ড ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময় ২০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর