অ্যাপল তালিকায় এবারে যুক্ত হলো নতুন আইপ্যাড মিনি। এ পণ্য নিয়ে একেবারেই আগাম মুখ খুলতে নারাজ ছিল অ্যাপল।
শুরুতে অনলাইনেই এ পণ্য বিক্রির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অপেক্ষা ছিল অ্যাপল স্টোর থেকে সরাসরি কেনার। এ জন্য ২ নভেম্বর নির্ধারিত ছিল। অ্যাপল পণ্য বাজারে আসা মানেই ব্যাপক উত্তেজনার পূর্বাভাস। তবে আইফোন(৫) নিয়ে যতটা উত্তাপ আর দীর্ঘ লাইন, আইপ্যাড মিনিতে তেমনটা হয়নি।
বাজারে আসার প্রথম সপ্তাহের হিসাবে ১০ লাখ আইপ্যাড মিনি বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটি সবশেষ আসা আইপ্যাডের বাজার বিক্রির প্রথম সপ্তাহের ৩০ লাখ ইউনিটের তুলনায় পিছিয়ে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
এ ছাড়া আইপ্যাড টু নিয়ে অ্যাপল এখনও ভালোভাবে বিপণনই শুরু করতে পারেনি। তবে অ্যাপলের একেবারে গোপন উন্নয়ন কক্ষে আইপ্যাড মিনি পরীক্ষামূলক পর্ব অতিক্রম করেছে। এমনকি লাখ লাখ আইপ্যাড মিনি প্রস্তুতও করা হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু বিপণনের।
এ জন্য অ্যামাজন কিনডল ফায়ার এবং গ্যালাক্সি নোট টুকে আমলে নিয়েছে অ্যাপল। বাজারে পরিস্থিতির পুরোটা চেহারা অনুমান করেই তবেই এবার মাঠে নামবে অ্যাপল মিনি।
স্টিভের হাত ধরে ৯.৭ ইঞ্চি স্পর্শক পর্দার আইপ্যাড পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের চেহারাই বদলে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারে আইপ্যাড মিনি এল ৭.৯ ইঞ্চি পর্দায় অবয়বে।
৭.২২ মিমি পাতলা আদলের এ পণ্য অ্যাপল ভক্তদের নিরাশ করবে না। সঙ্গে থাকছে অ্যাপল স্টোরের ৩ হাজার ৫০০ কোটি অ্যাপের হাতছানি। সব কিছু মিলিয়ে আইপ্যাড মিনি অনন্য আয়োজনে এক পণ্য। তবে তা আবারো ভোক্তাদের কাছেই প্রমাণের জন্য পৌঁছে যাচ্ছে।
আইপ্যাড মিনির ন্যূনতম ১৬ জিবি সংস্করণের সঙ্গে ওয়াইফাইযুক্ত মডেলের দাম পড়বে ৩২৯ ডলার। কিন্তু একই বৈশিষ্ট্যের সেল্যুলার সুবিধার মডেলের দাম ৪৫৯ ডলার।
এদিকে ৬৪ জিবি সংস্করণে ওয়াইফাই এবং সেল্যুলার যুক্ত মডেলের দাম ৬৫৯ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের আইপ্যাড মিনিতে থাকছে ফ্রন্ট ফেস ক্যামের সুবিধা।
অ্যাপলের বিপণন প্রধান ফিল শিলার জানিয়েছিলেন, গত ২৬ অক্টোবর থেকে মিনির অনলাইন প্রি-অর্ডার নেওয়া শুরু হবে। আর ২ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এশিয়া এবং ইউরোপের ৩৬টি দেশে আইপ্যাড মিনি পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, দিনক্ষণের এ হিসাবেই আইপ্যাড মিনি বাজারে এসেছে।
আইপ্যাড মিনি প্রসঙ্গে অ্যাপল প্রধান নির্বাহী টিম কুক জানালেন, অ্যাপল কথা রেখেছে। এ বছরের শুরুতেই বেশ কিছু উদ্ভাবনী চমকের কথা আশ্বাস দিয়েছিল অ্যাপল। এখন তা রক্ষা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
অতীতের প্রসঙ্গ টেনে টিম কুক বলেন, গত আড়াই বছরে বিশ্বব্যাপী ১০ কোটি আইপ্যাড বিক্রি হয়েছে। আকার, ওজন, সুবিধা, ফিচার আর কোটি কোটি অ্যাপের বৈচিত্র্যগুণে আইপ্যাড মিনি বাজারে নতুন উন্মাদনা ছড়াবে। স্টিভও বিশ্বাস বৈচিত্র্য বিশ্বাস করতেন।
বাংলাদেশ সময় ১২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১২