ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জনপ্রিয়তার ভাটায় গুগল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১২
জনপ্রিয়তার ভাটায় গুগল

ঢাকা: প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথমবারের মতো জনপ্রিয়তা হারানোর মুখে পড়লো গুগল। গত অক্টোবর মাসের মতো জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার হার যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০১৬ সালের মধ্যেই মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠান বিং-এর চেয়ে পেছনে পড়ে যাবে বর্তমানের সার্চ ইঞ্জিন জগতের একচ্ছত্র অধিপতি।



গুগলের জন্য ব্যাপারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ না হলেও গবেষকরা বলছেন অন্য কথা। এক্সপেরিয়ন নামের ইন্টারনেট সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে গত পাঁচ বছরে প্রথমবারের মতো গুগলের শেয়ার ৯০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

এক্সপেরিয়ন তাদের বিবৃতিতে বলে, “গুগল যুক্তরাজ্যের সার্চ ইঞ্জিন খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী। অন্যসব সাইটে সম্মিলিতভাবে যতোবার সার্চ করা হয়, তার চেয়ে ১৮ গুণ বেশি করা হয় গুগলে। তবে মাইক্রোসফটের জন্য সুখবর হলো, এরই মধ্যে তারা যুক্তরাজ্যে গুগলের শেয়ারে ভাগ বসাতে শুরু করেছে। ”

অবশ্য ৮৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ জনপ্রিয়তার হারও অবশ্যই কম নয়। সেপ্টেম্বর মাসে এ হার ছিল ৯০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। একই সময়ে ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন বিং-এর শেয়ার। বাকি শেয়ার রয়েছে ইয়াহু, আস্ক ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনের দখলে।  

এক্সপেরিয়নের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১২ সালে এটিই বিং-এর সর্বোচ্চ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শেয়ার।

কিন্তু এ নিয়ে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে প্রযুক্তিবোদ্ধাদের মনে। কেন গুগল জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, এবং কেন গুগল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগই বিং-এর দিকে ঝুঁকেছেন?

এর কারণ হিসেবে বিং উল্লেখ করেছে, গত অক্টোবর মাসে উইন্ডোজ ৮-এর মুক্তি, যেখানে বিংকেই ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে রাখা হয়েছে।  

তবে যেহেতু প্রায় প্রতিটি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে গুগলকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে রাখা হয়েছে, তাই শীর্ষস্থান থেকে গুগলকে সরানোর কাজটি রীতিমতো দুরুহ। এর মধ্য থেকেই নিজের জায়গা করে নিয়েছে বিং, যা গুগলের ভবিষ্যতের জন্য হুঁশিয়ারি তো বটেই।

তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, গুগলের এ পতনের পেছনে মাইক্রোসফট সার্ফেস ও আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ৬-এরও ভূমিকা আছে। এগুলোর কোনটিতেই গুগলকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি।

বিং-এর অর্জনের পেছনে ফেসবুকেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে দাবি করেছে এক্সপেরিয়ন। বিশ্বের জনপ্রিয়তম এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিং কে, যা বিং-এর জন্য একটি বড় মাইলফলক হতে পারে।

কিন্তু গুগলের সিংহভাগ শেয়ার থেকে কিঞ্চিৎ শেয়ার দখল করে বিং কীভাবে গুগলের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় উঠবে?
এ প্রশ্নের উত্তরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্রতম অবস্থান থেকে শুরু হয়ে ফেসবুক যেভাবে তিন-চার বছরের মধ্যে সারাবিশ্বকে ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনিভাবেই বিং-এরও দ্রুতগতিতে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সম্ভব। আর যেহেতু অনলাইন ব্যবসায় অল্প পরিমাণ শেয়ার বাড়লে বা কমলেও তা সাধারণত বেশ কিছু সময় ধরে তা  অব্যাহত থাকে, তাই ইন্টারনেট ব্যবসায় দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দেশ যুক্তরাজ্যের মাধ্যমে বিং-এর যাত্রা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এক্সপেরিয়ন। তবে এজন্য বিংকে স্মার্টফোনেও নিজেদের প্রসার বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছে সাইটটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১২
সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর/আরআর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর jewel_mazhar@yahoo.com 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।