বিশ্বের জনসংখ্যায় নতুন মাত্রা এনেছে ইন্টারনেট। একে বলা হচ্ছে ইন্টারনেট বিশ্ব।
প্রসঙ্গত, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিবছর ৮ ভাগ করে বাড়ছে। তবে বিশ্বের কয়েকটি দেশে এ সংখ্যা খুবই দ্রুত হারে বাড়ছে। এর মধ্যে আছে ইরান, ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়া, ফিলিপাইন এবং কলোম্বিয়া।
এ মুহূর্তে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে ১১০ কোটি প্রযুক্তিপ্রেমী। আর এর প্রায় প্রতিটি পণ্যতেই ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। ফলে স্মার্টপ্রেমীদের সঙ্গে বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও।
যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ তরুণ এখন ট্যাবলেট আর ই-রিডার ব্যবহার করছে। তিন বছর আগেও এ সংখ্যা ছিল মাত্র দুই ভাগ। তবে দৃশ্যটা পাল্টাতে থাকে আইপ্যাডের আর্বিভাবে। এ মুহূর্তে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত পণ্যের তালিকায় আছে আইফোন। ফলে মানুষের প্রত্যাহিক জীবন হঠাৎ করেই বদলে যেতে থাকে। দ্রুতই জীবনযাত্রা সেকেলে চেহারা বদলে যায়। শুরু হয় স্মার্ট তথ্যসংস্কৃতি।
এরই মধ্যে স্মার্টফোন আর ট্যাবের কারণে অনলাইন শপিং ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর তা বোঝা যায় ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ বিক্রির পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করে। বিশ্বের ব্যবহৃত ১৩ ভাগ ইন্টারনেট এখন স্মার্টফোনেই হয়।
এ বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইন শপিংয়ের পরিমাণ ২৪ ভাগ ছাড়িয়ে যায়। এ সংখ্যা দু বছর আগেও ৬ ভাগে ছিল। গত মে মাসে ভারতের কমপিউটারভিত্তিক ইন্টারনেট ট্রাফিক স্মার্টফোনের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে। ফলে ২০১৩ সালের স্মার্ট ইন্টারনেট ব্যবহারীর সংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়বে। এমনটাই জানালেন ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞেরা।
বাংলাদেশ সময় ২২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১২