স্বস্তায় আইফোন পাওয়ার আশায় রয়েছে যারা তারা হয়ত পণ্যটির নতুন খবর শুনে আশাহত হবে। কারণ অ্যাপলের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফিল স্কিলার চলমান গুজবের অবসান ঘটিয়েছে।
তিনি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছে কমদামি পণ্য তৈরি করছেনা অ্যাপল। এমনকি বাজার শেয়ার নিয়েও প্রতিষ্ঠান উদ্বীগ্ন নয় এমনও তথ্য দিয়েছে স্কিলার।
চীনের দৈনিক সাংহাই ইভিনিং নিউজ স্কিলারের বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে কোপার্টিনো-বেজড প্রতিষ্ঠানের অপেক্ষিত পণ্যের সত্যতা প্রেকাশ পেলো। বিবৃতিতে যোগ করা অন্য তথ্য প্রতিষ্ঠানের স্মার্টফোন বাজেট সেগমেন্টে এটি থাকবেনা। এ মুহূর্তে অ্যাপলের দৃষ্টি অধিক সুবিধার ভালমানের পণ্য তৈরিতে।
কারণ আইফোনের গঠন, বৈশিষ্ট্য পরিকল্পনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোন ব্যবহারের পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা লাভ করতে পেরেছে। বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের বাণিজ্যিক শেয়ার ২১ শতাংশ অন্যদিকে কোরিয়ান জায়েন্টের বর্তামানে বাজার শেয়ার ৩৩ শতাংশ। প্রতিদ্বন্দীদের থেকে পিছিয়ে পড়া যা প্রতিষ্ঠানের জন্য মুখ্য নয় বলে জানায় ফিল।
প্রসঙ্গত, আইফোন হচ্ছে অ্যাপলের স্বপ্নের একটি পণ্য। যাকে স্মার্টফোন বাজারের অনন্য পণ্যরুপে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল স্টিভ। কিন্তু প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে কয়েকটি মডেল নামানোয় ভেদাভেদে বাধাগ্রস্ত হয়। ছয় বছর আগে টাচস্ত্রিন এবং একটি মাত্র হোম বাটনযুক্ত আইফোন নিয়ে আসে অ্যাপল। বর্তমানের বিচার বিশ্লেষণায় সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে মাত্র একটি স্মার্টফোন মডেলের মাধ্যমে তরঙ্গগতিতে সম্মুখে যাওয়ার লক্ষ্য অ্যাপলের। এতে আরো উল্লেখ হয়েছে এর গঠনকাঠামো বাণিজ্যিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
প্রয়াত স্টিভ জবসের প্রত্যাশা ছিল ৩.৫ ইঞ্চি আইফোনের। তিনি বলেছিলেন স্মার্টফোনের জন্য পর্দার এই আকৃতি উপযুক্ত। যেহেতু একহাতে ব্যবহারের সুবিধা আছে।
কিন্তু জবসের মৃত্ব্যর এক বছর পরে আনা হয় বৃহৎ ৪ ইঞ্চি পর্দার আইফোন ৫। এভাবে সাবেক প্রতিষ্ঠাতার স্বপ্নকে অগ্রাহ্য করে কিন্তু হ্যান্ডসেটের প্রশস্ততা ঠিকই রাখা হয়।
ধারণা মতে, একইভাবে বলপ্রয়োগে বাজার টানতে কমদামি আইফোন বের হবে। অবশ্য খুব শীঘ্রই এমন ঘটনা ঘটছেনা এটা নিশ্চিত। কারণ স্কিলার এ মুহূর্তে না করে দিয়েছে তারা কমদামি আইফোন তৈরি করবেনা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘন্টা, ১২ জানুয়ারি, ২০১৩