প্যাট্রেসিয়া ফিনি। আপাতত প্রবাসী হিসেবে ঢাকার বাসিন্দা।
একদিন ইন্টারনেটে খোঁজ খবর নিতেই চোখে পড়ে ‘ইন্টারনেট ইনকাম সোর্স’ (আইআইএস) সাইটের লিঙ্ক। ঝটপট নিবন্ধনের পাট চুকিয়ে কাজে ঝাপিয়ে পড়া। ব্লগে এ মাধ্যমে আয়ের কথা পড়েছিলেন ফিনি। এবার মিলল বাস্তবিক কাজ করার সুযোগ।
গল্প বাস্তব হয়ে শুরুতে প্রতিমাসে ৫ থেকে ৭ হাজার ডলার আয়ের কথা জানান ফিনি। একটি চাকরির তুলনায় এটা নেহাৎ কম উপার্জন নয়। আর তা ঘরে বসেই আয় করা। সময়ও খুব যে লাগে তাও কিন্তু নয়। সপ্তাহে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করেই এমন আয়ের কথা বললেন ফিনি।
অনলাইনে চাকরির সুযোগ। সঙ্গে প্রয়োজনীয় আয় আর সময়ের বাড়তি চাহিদা পূরণ। এ দুয়ে দারুণ কর্মযজ্ঞের কথা ফিনি নিজেই বললেন। আগে মনস্টার ডটকম, ক্যারিয়ার বিল্ডার ডটকম এবং (Snagajob.com) এ সাইটে চাকরি নিয়ে ছুটোছুটি করেছেন ফিনি। এখন বাস্তব উল্টো।
অনলাইনে ক্ল্যাসিফায়েড অ্যাডের ব্যবস্থাপনা এবং বিপণন থেকেই এ আয় করা সম্ভব। তবে এ জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগটা জরুরি। ইন্টারনেটে সফল ব্যবহার করে অনেকেই কোটিপতি বনে গেছেন। তাই এ সুযোগটা লোভনীয়। কিন্তু বিদ্যা আর কৌশলগত দক্ষতা না থাকায় অনেকেই বিভ্রান্ত হন এ স্বাধীন পেশায়।
শুরুতে কঠিন মনে হলেও ধীরে ধীরে এ পেশা আয়ত্ত্বে আসতে শুরু করে। আয়ও বাড়তে থাকে। সঙ্গে বাড়ে আর্থিক সচ্ছলতা। সব মিলিয়ে দারুণ এক কর্মময় জগৎ।
ইন্টারনেটভিত্তিক আয়ের যে সাইটে কথা ফিনি জানিয়েছে তাতে শুরুতে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে নিবন্ধিত হতে হবে। এ জন্য মাস্টার, ভিসা এবং ডিসকভার কার্ড থাকতেই হবে। নির্ভরযোগ্য এ মাধ্যমে নিবন্ধন এবং আয় দুটোই নিরাপদ বলে জানালেন ফিনি।
এ পেশায় পরিচিত বন্ধুদের কথা বলতে গিয়ে ফিনি বলেন, অনেকেই এ মাধ্যমে দিনে ৬০০ ডলার পর্যন্ত আয় করছে। তবে গড়ের হিসাবে কমবেশি হতেই পারে। এ স্বাধীন পেশায় ‘স্কাই ইজ দ্য লিমিট’ বলে একটা জনপ্রিয় প্রবাদ আছে।
পরিশ্রম মেধা আর যোগাযোগ দক্ষতা দিয়ে নিরলস কাজ করে গেলে এ পেশায় শুধু সফলই নয়, আর্থিকভাবে সচ্ছলতার সঙ্গে পরিবারের জন্য বাড়তি সময়ই বের করা কঠিন কোনো সত্য নয়। এটা ফিনির দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকে নেওয়া তথ্যগুচ্ছ। আগ্রহীরা (http://internet-income-source.com/2/intl/?aff_sub=42) এ সাইটে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন ইন্টারনেট ইনকাম সোর্সের মতো জনপ্রিয় কর্মমাধ্যমে।
বাংলাদেশ সময় ২০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৩