অরুণ টাডাঙ্কি, ইয়াহু ইন্ডিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসছে জুনে ইয়াহু ছাড়ছেন। ২০০৯ সালে তিনি ইয়াহু ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বগ্রহন করেন।
প্রতিষ্ঠানের এক বিবরণীতে টাডাঙ্কির উক্তি দিয়ে জানানো হয় তিনি ১১ বছর ধরে বহুজাতিক ইন্টারনেট কোম্পানির “বিশ্ব বাজার উন্নয়নের” সিইও’র ভূমিকায় কাজ করেছেন। তার ভবিষ্যত স্বপ্ন ছিল ইন্টারনেটের ইকোসিস্টেমে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী ভূমিকায় কাজ করতে। তার আর কোনো পরিকল্পনা এমনকি আবারো ইয়াহুতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিনা এসব বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
সুত্র মতে, আর্থিক প্রতিবেদনের হিসাবে বিশ্লেষকদের পূর্বধারণার চেয়ে গত বছরের চতুর্থ ভাগে কিছুটা ভাল মুনাফা আসে ইয়াহুর। আর সেই বছরের পুরো ভাগের ফলাফল প্রকাশ হয় ২০০৮ সালের পর থেকে অর্জিত মুনাফার সবচেয়ে লাভজনক বছর হিসেবে। এ অর্জন যদিও প্রান্তিক পর্যায়ে ছিল তাছাড়া ইয়াহু এখনও ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন বাজারের সার্বিক বৃদ্ধির সঙ্গে চলার গতিকে সামঞ্জস্য করতে পারেনি।
মারিসা যিনি ২০০৮ সালের মধ্যবর্তীকালে ইয়াহুর পঞ্চম স্থায়ী সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে অরুণের চাকরি ছাড়া সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের একজন মুখপাত্র বলেন “অরুণের নেতৃত্বকালে ইয়াহু ইন্ডিয়া ব্যবহারকারী এবং বিজ্ঞাপন, বাজারের দ্রুত গতিশীলতার এক অপ্রত্যাশিত অগ্রগতি দেখেছে। শুধু এটাই নয় গত ৩ বছরে অরুণ প্রধান অংশীদারদের সুরক্ষিত রেখেছে যার ফলে ইয়াহুর মোবাইল ব্যবহারকারী ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ইন্ডিয়ায়।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে জোড়ালো পদক্ষেপের মাধ্যমে ইয়াহুর দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম অঞ্চলগুলোতে অগ্রগতি আসে।
প্রসঙ্গত, পূর্বে তিনি মনোস্টার ডট কমের ”অ্যাপেক অ্যান্ড মিডিল ইস্টের” প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ৭ বছর। এরপর ২০০২ সালের এপ্রিলে যখন জবসএহেড ডট কমের মালিকানা পান তখন মনোস্টারের সাথে যুক্ত হন। যেখানে তিনি সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ , ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৩