তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে ভারত অনেক আগেই সবার নজর কেড়েছে। এবারে উন্মুক্ত জায়গায় তারহীন (ওয়াইফাই) ফ্রি ইন্টারনেট সেবার ঘোষণা দিয়ে নিজেদের আরও খানিকটা এগিয়ে নিল ভারত।
ব্যাঙ্গালুরু শহরের মহাত্মা গান্ধী এবং ব্রিগেড রোডে এখন থেকে ওয়াইফাই ইন্টারনেটের সুবিধা পাওয়া যাবে। এটি পর্যটন খ্যাত এ নগরীর অন্যতম বিকিকিনি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ভারতের মধ্যে ব্যাঙ্গালুরই হচ্ছে প্রথম শহর যেখানে উন্মুক্ত জায়গায় জনসাধারণের জন্য ফ্রি ওয়াইফাই ইন্টারনেট সেবা চালু করা হলো।
এ সেবার প্রবর্তক বিখ্যত আইটি প্রতিষ্ঠান ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহনদাস পাই। এ সেবা আগামী ছয় মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালু থাকবে। এটি আইসিটি প্যানেলের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে।
এ মুহূর্তে বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারতেও স্মার্টফোনের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ছে। তবে নেটওয়ার্ক কাভারেজ সমস্যা এখনও পুরোপুরি করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য ‘অ্যাকসেস প্ল্যান’ প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্রুত কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ইনফোসিস চেয়ারম্যান মোহনদাস এ কথা বলেন।
তবে এ বিষয়ে ভারতের সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করেন কর্নাটকের প্রধানমন্ত্রী। এরপরই প্রকল্প আকারে এ প্রস্তাব গৃহিত হয়। ব্যাঙ্গালুরুভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা ডি-ভয়েস এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে। খুব দ্রুতই পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ কাজ শেষ হয়।
এ ছাড়াও ভবিষ্যতে আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) সেবাদাতাদের এ সেবা দিতে আহ্বান জানানো হবে। এটি রাজস্ব এবং মুনাফা বৃদ্ধিতে দারুণ কার্যকর। এমনটাই মনে করছেন প্রকল্প বিশ্লেষকেরা।
ইন্টারনেটের পূর্ণ ব্যাপ্তী স্মার্টফোন এবং ট্যাব পিসির মাধ্যমেই ছড়িয়েছে। জনসাধারণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতে সরকারি প্রকল্পগুলো তাই এ মডেলে মুনাফা ভাগাভাগির মাধ্যমে আরও গতিশীল করা সম্ভব। ইন্টারনেটে সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ভারতের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। এ পরিস্থিতিতে আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ১৬ কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। ভারতের ‘দ্য ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন’ এমন আভাসই দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ২০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৩