ঢাকা: গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগাবাইট ০.১০ পয়সা/ প্রতি গিগাবাইট ১০.০০ টাকা হারে নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে(ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সামাজিক তথ্য-বিনোদনমূলক ওয়েব পোর্টাল ডিয়ারজুলীয়াস.কম, আইসিটি বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল পিসি হেল্প লাইন বিডি, বাংলাদেশ টেলিকম সাবস্ক্রাইবার্স ফোরাম, আইসিটি অব বাংলাদেশ, ইয়াহু গ্রুপ এ আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানি ও ইন্টারনেট সার্বিস প্রোভাইডাররা গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করছে। গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি বিশ্বের অনান্য দেশে অনেক কম দামে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। আর বাংলাদেশে কয়েকগুণ বেশি দামে ইন্টারনেট দিচ্ছে আবার নেটের স্পিডও কম। অন্যান্য কোম্পানিও তাই করছে।
বিটিআরসি ও সরকার এ ব্যপারে না বুঝে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আর ইন্টারনেট প্রোভাইডার বা মোবাইল কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে তারা ইন্টারনেটের নামে শোষণ করছে। তাই অবিলম্বে ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন আইসিটি আন্দোলন সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপযুক্ত মূল্যহার নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ১৫ দিনের সময় দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে বিটিআরসি গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রমিত গতি এবং মূল্যহার প্রতি মেগাবাইট ০.১০ পয়সা/ প্রতি গিগা বাইট ১০.০০ টাকা (ফ্লাট রেট) হারে নির্ধারণ করবে বলে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, অন্যথায় আমরা ১২ জুন বুধবার বিকেল ৩টায় বিটিআরসি কার্যালয়ে অবস্থান নেবো এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা সেখানেই বিক্ষোভ করবো। পাশাপাশি আমাদের গণসংযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চলতে থাকবে।
এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে পিসি হেল্পলাইন বিডি’র আয়োজনে ৩১ মে শুক্রবার সকাল ১১টায় শাহবাগ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৩
এমআইআর/এনএস