ব্যক্তিতথ্য সরকারের কাছে প্রকাশ নিয়ে ঘুরেফিরেই বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। অ্যাপল এবং ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠান বলছে কোনোভাবেই সরকারকে অনৈতিক তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না।
কিন্তু সন্দেহের হাত থেকে কোনোভাবেই মুক্ত নন প্রযুক্তিপ্রেমীরা। তবে অ্যাপল অবশ্য জোর দিয়েই দাবি করেছে অপ্রয়োজনীয় এবং ব্যবসা স্বার্থে কোনো তথ্যই সরকারকে দেওয়া হচ্ছে না। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।
সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আঁতাতের প্রকল্প ‘প্রিজম’ নিয়ে যেন কোনোভাবেই শঙ্কামুক্ত হচ্ছেন না সামাজিক গনমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। আলোচ্য বছরের গত ছয় মাসে অ্যাপলের কাছে ৫ হাজার তথ্য চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)।
এরই মধ্যে শীর্ষ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং গার্ডিয়ানে প্রিজম প্রকল্প নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট সবার টনক নড়ে। শুরু হয় কৈফিয়ত আর সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আনাস্থার দোলাচল। কাঠগড়ায় দাড়াতে হয় অ্যাপল, ফেসবুক এবং গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে।
ওবামা সরকারের এমন গোপন সন্ধির নিয়ে জনমনে নানামুখি সংশয় তৈরি হয়েছে। অ্যাপল সূত্র বলছে, গত ডিসেম্বরে ১০ হাজার অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে এনএসএ। তবে গুরুত্ব আর সঠিক বিবেচনার পর আদালতের আদাশেই অ্যাপল সরকারকে তথ্য সরবরাহ করছে।
এদিকে আরেক প্রতিষ্ঠান ফেসবুক সূত্র বলছে, গত বছরের ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১০ হাজারেরও বেশি ফেসবুক গ্রাহকের তথ্য চেয়েছে। এ ছাড়াও ১৯ হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে সরকারের সরাসরি কড়া নজরদারিতে। তবে খুব সহজেই এ সন্দেহের শঙ্কা কাটছে না।
সামাজিক গণমাধ্যমে সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে, সহিংসতা ঠেকাতে এবং ব্যক্তি সচেতনতা বাড়াতে সরকার এসব অ্যাকাউন্ট নজরদারি করছে। আর এ জন্য আদালতের আদেশ বলেই সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব তথ্য জানাতে চাইছে।
বাংলাদেশ সময় ২২৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৩