ইন্টারনেট বলয় জুড়ে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বিশেষজ্ঞ দল নেটট্রাভেলার নামে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম শনাক্ত করেছে। এ নিয়ে রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়েছে।
সুদক্ষ সাইবার হামলাকারীরা এ প্রোগ্রামের সহায়তায় ৪০টি দেশের উচ্চমানের ৩৫০টি স্থাপনাকে সফলভাবে লক্ষ্যতে পরিণত করে। সরকারি প্রতিষ্ঠান, দূতাবাস, তেল ও গ্যাস শিল্প, গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক ঠিকাদার এবং বিভিন্ন কর্মকান্ডে নেটট্রাভেলার গ্রুপ আক্রমণ করে।
বাংলাদেশও নেটট্রাভেলার দ্বারা আক্রান্ত বলে ক্যাসপারস্কি ল্যাব ভিকটিম ম্যাপসূত্রে দেখা গেছে। অন্য সব দেশের মধ্যে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চিলি, মরক্কো, গ্রিস, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন, লিথুনিয়া, বেলারুশ, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, জাপান, চীন, মঙ্গোলিয়া, ইরান, তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, কাতার, কাজাখস্তান এবং জর্দান।
প্রসঙ্গত, এ নেটট্রাভেলার ২০০৪ সালের প্রথম থেকে কার্যকর। তবে ২০১০-২০১৩ সময়ে এর কার্যক্রম বিস্তৃতি পায়। সম্প্রতি নেটট্রাভেলার গ্রুপের সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে মহাশূন্যে উৎক্ষেপণ, ন্যানোটেকনোলজি, শক্তি উৎপাদন, পারমাণবিক শক্তি, লেজার, ঔষধ এবং যোগাযোগ খাত অন্তর্ভূক্ত আছে।
এ ছাড়াও ক্যাসপারস্কি ল্যাব সিকিউরিটি সফটওয়্যারগুলো এখন Trojan-Spy.Win32.TravNet এবং Downloader.Win32.NetTraveler সহ নেটট্রাভেলার টুলকিট ব্যবহৃত অন্য সব ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম শনাক্ত ও অকার্যকর করে দিচ্ছে।
তাছাড়া Exploit.MSWord.CVE-2010-333, Exploit.Win32.CVE-2012-0158 সহ মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহারে স্পিয়ার-ফিশিং আক্রমণগুলোও ক্যাসপারস্কি ল্যাব সিকিউরিটি সফটওয়্যার শনাক্ত ও অকার্যকর করতে সহায়তা করছে।
এরই মধ্যে ফ্লেম, ডুকু, স্টাক্সনেট এবং রেডঅক্টোবর নামের ক্ষতিকারক প্রোগ্রামগুলোও ক্যাসপারস্কি ল্যাব শনাক্ত এবং এসব প্রতিরোধে সক্রিয় আছে বলে গবেষণা সূত্রে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর