ঢাকা: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) উপজেলা পর্যায়ে অপটিকাল ফাইবার নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে উপজেলা তথা গ্রাম পর্যায়ে তথ্য যোগাযোগ ও আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা সম্প্রসারিত হবে।
এর মাধ্যমে সারা দেশের ইন্টারনেট সম্প্রসারণ আরোও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হয় একনেক সভায়। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মঙ্গলবার প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
অনুমোদিত প্রকল্পটি দেশের ৬৪টি জেলার ২৯০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। অবশিষ্ট ১৭৯টি উপজেলার কয়েকটিতে ইতোমধ্যে বিটিসিএল অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ এবং অন্যগুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভৌগলিক অবস্থান অনুকূলে না হওয়ায় ভোলা সদর, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঘাইছড়ি, লংগদু জুরাইছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল এবং বরিশালের মুলাদী, মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা উপজেলা বর্ণিত প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হবে না। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯৯ কোটি টাকা যা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে।
প্রকল্পটির গুরুত্ব বিবেচনায় এটি আরও বড় পরিসরে বাস্তবায়নের জন্য বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির প্রচেষ্টা চালাতে পরিকল্পনা কমিশন পরামর্শ দিয়েছে।
সভায় ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উদ্ধার বাহন সংগ্রহের লক্ষ্যে অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ১৫৯ কোটি টাকার প্রকল্পটি চলতি বছর জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুনে বাস্তবায়িত হবে।
অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ একনেক এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূইয়া শফিকুল ইসলাম অনুমোদিত প্রকল্পসমূহের বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান আজকের সভায় মোট ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এতে ৮৮৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ব্যয়ের পুরোটাই সরকারি খাত (জিওবি) থেকে আসবে।
সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কৃষি যন্ত্রপাতি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প এবং ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বিফ ক্যাটলে ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে ।
‘ভোলা জেলার লালমোহন উপজলোয় ঝুঁকিপূর্ণ অংশে নদী তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা।
‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমির পানি দ্বারা বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমে পল্লী জীবিকায়ন উন্নয়ন শীর্ষক প্রায়োগিক গবষেণা’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৩
এমআইএস/সম্পাদনা: তানিম কবির, নিউজরুম এডিটর, এসএস